ভারতে এটি সর্বদা একটি কুসংস্কার হিসাবে বিবেচিত হয়েছে যে সাপ প্রতিশোধ নেয়, বিশেষ করে নাগিন। এমনই একটি ঘটনা আজকাল খবরের শিরোনামে। ইউপির ফতেহপুরে, বিকাশ দুবে নামে এক যুবক দাবি করেছেন যে ৪০ দিনের মধ্যে তাঁকে ৭ বার সাপে কামড়েছে। ২৪ বছর বয়সের বিকাশ প্রাণে বাঁচতে মাসি ও মামার বাড়িতে পালিয়ে যান, কিন্তু সেখানেও সাপ তাঁকে শিকার করে। যখনই তাঁর অবস্থার অবনতি হয়, তাঁকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, সাপটি তাঁর স্বপ্নেও দেখা দেয় এবং বিকাশকে ৯ বার কামড়ানোর হুমকি দেয়। তবে এখানে আপনাকে বলে রাখি যে কেবল সাপই প্রতিশোধ নেয় তা নয়। এমনকি একটি বাঁদরও প্রতিশোধ নিতে পারে। মানে একই বাঁদর একই ব্যক্তিকে একাধিকবার কামড়াতে পারে। হ্যাঁ, এমনটা কোনও সাধারণ মানুষের সঙ্গে নয়, ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে ঘটেছে।
রিঙ্কু সিং নিজেই সাক্ষাৎকারে এটি জানিয়েছেন। আইপিএল ২০২৪ এর পরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) সাক্ষাৎকারে রিঙ্কু এটি প্রকাশ করেছিলেন। অ্যাঙ্করকে উত্তর দেওয়ার সময় রিঙ্কু তাঁর ডান হাতে ট্যাটু দেখান। এর পর অ্যাঙ্কর জিজ্ঞেস করেন অন্য হাতে কী আছে, তখন রিঙ্কু বলেন যে ওটাতে একটা বাঁদর আছে।
রিঙ্কুর সাক্ষাৎকারে উপস্থিত ছিলেন কেকেআর-র সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারও। ওরা তখন রিঙ্কুর কাছে বাঁদরের গল্পটা জানতে চান। তখন রিঙ্কু বলেন, 'বাঁদরটা আমাকে ৬ বার খেয়েছে। সে আমাকে পছন্দ করেছে।' একটাই বাঁদের এতবার কামড়েছে কি না জানতে চাইলে রিঙ্কু বলেন, 'হ্যাঁ, একটি মাত্র বাঁদর।'
ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার রিঙ্কু সিং সম্প্রতি জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছেন। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যও তাঁকে ট্রাভেলিং রিজার্ভে রাখা হয়েছিল। এখন ভারতীয় দলের পরবর্তী মিশন শ্রীলঙ্কা সফর। রিঙ্কু সিং এই দলে জায়গা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিকাশ দুবের সাপ ফোবিয়া রয়েছে
এদিকে বিকাশ দুবের মামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিএমও। এর জন্য চিকিৎসকদের একটি দল গঠন করা হয়েছিল, যারা আজ ডিএম-এর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তিন সদস্যের এই তদন্ত দলের মতে বিকাশকে একবারই সাপে কামড়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে বিকাশ দুবের সাপের ফোবিয়া রয়েছে। এটাও বলা হয়েছে যে তাঁকে একজন মানসিক বিশেষজ্ঞ দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। এখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ওই যুবককে মানসিক চিকিৎসক বা মানসিক বিশেষজ্ঞ দিয়ে চিকিৎসা করানো হবে।