কমেন্টেটর তনয় তিওয়ারির কেরিয়ার বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। এক পডকাস্টে এসে এ কথা নিজেই জানালেন কমেন্টেটর। রোহিত সবসময়ই কুল থাকেন। সুযোগ দেন তরুণ ক্রিকেটারদের। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেন হিসেবে শুধু পাঁচটা আইপিএল জেতা নয়, একাধিক তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দিয়েছেন। তুলে নিয়ে এসেছেন দেশের ক্রিকেটের সেরা মঞ্চে।
কী ঘটেছিল?
এক্ষেত্রেও সেটাই করেছেন রোহিত। দেশের একজন উঠতি ধারাভাষ্যকার ইন্টার্ন হিসেবে রোহিতের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন। আর সেই সময়ই ঘটে যায় এই ঘটনা। খুব ছোট জায়গার মধ্যে ইন্টারভিউটা নেওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ই টেবিলে থাকা গরম কফি পড়ে যায়। টেবিলে পড়ে যাওয়া সেই কফি গড়িয়ে পড়তে থাকে রোহিতের গায়ে। এটা দেখে চিল্লাতে থাকেন রোহিতের সহকারী। বলতে থাকেন, কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে তনয়ের। ভয় পেয়ে যান তরুণ ধারাভাষ্যকারও।
তনয় বলেন, 'আমার মনে হচ্ছিল, এবার আমার কেরিয়ার শেষ। প্রথম ইন্টারভিউ নিতে এসে এমনটা হবে ভাবিনি।' তবে নিজেই তরুণ ধারাভাষ্যকারকে বাঁচিয়ে দেন রোহিত। সঙ্গে থাকা ম্যানেজারকে বলেন, 'ছাড় না, ও বাচ্চা একটা ছেলে।' শুধু তাই নয়, তনয়কে অভয় দিয়ে বলেন, 'তুমি প্রশ্ন করো, কী হয়েছে একটু কফিই তো পড়েছে। তাতে কী হবে? এসব ছাড়, কী প্রশ্ন আছে কর।' এটাই রোহিত শর্মা।
তিনি রান না পেলে বিতর্ক শুরু হয়। তিনি খেলতে শুরু করলে ব্যাটিং-এর নতুন সংজ্ঞা তৈরি হয়। তবে তিনি বদলান না। উল্টে সুযোগ করে দেন নতুন প্রতিভাকে। কে ভেবেছিল এবারের আইপিএল-এর প্রথম ম্যাচে তাঁকে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হতে হবে? কিংবা দলের জন্য সিডনি টেস্ট থেকে নাম তুলে নেবেন ফর্মে না থাকা ক্যাপ্টেন? এটাই রোহি[তের ট্রেডমার্ক। নিজের নয়, দলের জন্য সবটা নিংড়ে দেওয়া। তাতে নিজের ক্ষতি হলেও পরোয়া নেই। এটা বোধহয় রোহিত পারেন। আর সেই কারণেই, তনয়রা জায়গা পান, প্রতিষ্ঠা পান।