শ্রেয়স আইয়ারঅস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন ভাইস ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার। ম্যাচ চলাকালীনই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তবে চোট এতটাই গুরুতর যে, সতীর্থরা দেশে ফিরে এলেও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাননি ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটার। শুধু তাই নয়, রক্তক্ষরণও হয়েছে তাঁর। সে কারণে আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়েছে তাঁকে।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক সূত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, 'তাঁর সুস্থতার উপর নির্ভর করে তাকে দুই থেকে সাত দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। রক্তপাতের কারণে সংক্রমণের বিস্তার রোধ করার জন্য এটি প্রয়োজনীয়।'
কী হয়েছিল?
তখন ব্যাট করছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি। বোলার হর্ষিত রানা। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৩৪ তম ওভারের ঘটনা। ক্যারির শটটা উপরে উঠে গিয়েছিল। উল্টোদিকে বেশ কিছুটা ছুটে গিয়ে বলটি তালুবন্দি করেন শ্রেয়স। কিন্তু ভারসাম্য না রাখতে পেরে মাটিতে পড়ে যান। শ্রেয়সের কোমরের বাঁদিকে ভালই চোট লাগে। যদিও ক্যাচটি মিস করেননি তিনি। এরপরই মাঠ থেকে বেরিয়ে যান শ্রেয়স। শর্ট থার্ড ম্যানে ফিল্ডিং করছিলেন শ্রেয়স। বলটি ঠিকঠাক ব্যাটে বলে হয়নি ক্যারির। ব্যাটের কানায় লেগে বল উঁচুতে উঠে যায়। শ্রেয়স উল্টোদিকে দৌড়ে ক্যাচ ধরেন। কিন্তু বেশ জোরের সঙ্গেই তিনি মাটিতে পড়েন ও চোট পান।
টি২০ সিরিজে দলে নেই শ্রেয়াস
ছোট বেশ গুরুতর বলেই মনে করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এরপর অনুষ্ঠিত হতে চলা টি-২০ সিরিজে ভারতীয় দলে নেই এই ব্যাটার। ফলে সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। তিনি ওডিআই সিরিজের পর অস্ট্রেলিয়ায় কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে তারপর দেশে ফেরার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে আপাতত ছুটি কাটানোর বদলে হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দেশে ফিরে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) বিসিসিআই সেন্টার অফ এক্সসেলেন্সে রিহ্যাবের জন্য যেতে হতে পারে শ্রেয়াসকে।
শেষ একদিনের ম্যাচে ভাল জয় পেয়েছে ভারত
ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ওডিআই সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে ভারতীয় দল ৯ উইকেটে জয়লাভ করে। অস্ট্রেলিয়া ভারতকে ২৩৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয়, যা তারা সহজেই অর্জন করে। রোহিত শর্মা ১২১ এবং বিরাট কোহলি ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ১ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়া। বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা ১৬৮ রান যোগ করেন। রোহিত ১২৫ বলে অপরাজিত ১২১ রান করেন, যার মধ্যে ১৩টি চার এবং তিনটি ছক্কা ছিল। এটি ছিল রোহিতের ৩৩তম ও য়ানডে সেঞ্চুরি। অন্যদিকে, কোহলি ৮১ বলে অপরাজিত ৭৪ রান করেন, যার মধ্যে সাতটি চার ছিল। এটি ছিল কোহলির ৭৫তম ওয়ানডে ফিফটি।