আবার ক্রিকেট প্রশাসনে ফিরছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০২২ সালে বিসিসিআই-এর সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বাংলার ক্রিকেট আইকন। এবার ফের সিএবি-র সভাপতি পদের জন্য় লড়তে চলেছেন সৌরভ। মঙ্গলবার রাতে ইডেনে এ কথাই জানিয়েছেন তিনি। সৌরভ ভোটে লড়াই করলে তাঁর জয়ের সম্ভাবনাই যে বেশি তা বোলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বলাই যায় যে সব ঠিক থাকলে তিনিই ফের সভাপতি।
কবে থেকে শুরু করবেন কাজ?
২০ সেপ্টেম্বর সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভা। সেদিনই সৌরভ ফের সভাপতি আসনে বসতে চলেছেন। অর্থাৎ এ মাসের শেষের দিকেই সরকাবিভাবে ঘোষণা হয়ে যাবে সিএবি সভাপতি হিসেবে তাঁর নাম। মঙ্গলবার সভাপতি পদে দাঁড়ানোর কথা নিজেই জানালেন মহারাজ। সভাপতি পদে সৌরভ মনোনয়ন দিলে কোনও বিরোধিতা হবে না বলেই খবর। সৌরভ নিজেই জানিয়েছেন, সিএবি-র সভাপতি পদে তিনি দাঁড়াতে চলেছেন।
এর আগেও সিএবির সভাপতি পদে থেকেছেন সৌরভ
বাইপাসের ধারে এক হোটেলে এবার সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। তার সাতদিন আগে থেকে শুরু হবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। ১৪ অগাস্ট সিএবির শেষ অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিএবি সভাপতি ছিলেন সৌরভ। তারপর বিসিসিআইয়ের সভাপতি হন ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত। এবার ফের বঙ্গ ক্রিকেটের সভাপতি পদে। বর্তমানে সিএবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সৌরভের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। তবে লোধা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তাঁর মেয়াদ শেষ।
সিএবি সভাপতি থাকাকালীন সৌরভ বাংলার ক্রিকেটে চোখে পড়ার মতো কিছু কাজ করেছেন। তিনি পেশাদার কোচিং–ব্যবস্থা ও খেলোয়াড় উন্নয়ন কর্মসূচি জোরদার করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেন। তাঁর সময়ে বেঙ্গল রঞ্জি ট্রফিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্যও পায়। বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার পর, ভারতীয় ক্রিকেটের ভিত আরও মজবুত হয় এবং এর প্রভাব বাড়ে গোটা বিশ্বজুড়ে। তাঁর অন্যতম উদ্যোগ ছিল বেঙ্গালুরুতে আধুনিক ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমি (এনসিএ) প্রতিষ্ঠা, যা উঠতি ক্রিকেটারদের বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ দেয়।