রবিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন। আর সেদিনই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সিএবি (CAB) সভাপতি হিসেবে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হয়ে যাবে। বিরোধী পক্ষের কেউ না থাকায় সৌরভ যে ফের পদে বসতে চলেছেন তা মোটামুটি পরিস্কার। তবে সৌরভের প্যানেলে আর কারা কারা থাকবেন তা নিয়েই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।
সিএবি-র বাকি পদে আর কারা?
শোনা যাচ্ছে, তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সঞ্জয় দাস সচিব অথবা যুগ্ম সচিবের পদে থাকতে পারেন। তবে সঞ্জয় যুগ্ম সচিব হলে সভাপতি পদে কে আসবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই জায়গায় কালীঘাট ক্লাবের কর্তা বাবলু কোলের নাম শোনা যাচ্ছে। সহ-সভাপতির পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন অনু দত্ত ও প্রাক্তন ক্রিকেটার মদন ঘোষ। কোষাধক্ষ পদে আসতে পারেন বেলগাছিয়া ক্লাবের প্রতিনিধি সুব্রত সাহা।
কেন দাঁড়ালেন না অভিষেক ডালমিয়া?
বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে অভিষেক ডালমিয়ার কথা শোনা গেলেও, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন না তিনি। তবে সিএবি-র শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তাঁর আছে। সে সব বিষয়েও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ তিনি। আর সে কথা বিচার করেই, প্রেসিডেন্টের পদে বসার পর, সাংগঠনিক দিকেও নজর দিতে চান সৌরভ।
বিসিসিআই-এর সভায় বাংলার প্রতিনিধি সৌরভ
এদিকে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলার প্রতিনিধিত্ব করবেন সৌরভ। সেই সভায় পঞ্জাবের প্রতিনিধিত্ব করবেন আরেক প্রাক্তন তারকা হরভজন সিং। কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, সচিন তেন্ডুলকরকে বিসিসিআই সভাপতি পদে দেখা যেতে পারে। তবে সেই জল্পনায় জল ঢেলেছেন সচিন নিজেই। ফলে শুধু সিএবি নয়, বিসিসিআই-এর নির্বাচনের দিকেও নজর থাকবে ক্রিকেট প্রেমীদের। সৌরভ এর আগে বিসিসিআই সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন বেশ সফলতার সঙ্গেই। ফের তিনি বিসিসিআই-এর চেয়ারে নিজেকে দেখতে চান কিনা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে একটা কথা বলাই যায়, ক্রিকেট প্রশাসনে কামব্যাক করছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।