
অস্ট্রেলিয়া সফরে খেলতে যাওয়ার আগে ফিটনেস টেস্ট দিতে হয়েছে বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli)। দেশে না এসে তিনি ইংল্যান্ডে থেকেই ফিটনেস টেস্ট দেন। বাকি ভারতীয় খেলোয়াড়রা বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (BCCI) সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে (সিওই) এই পরীক্ষা দিয়েছেন। সেই টেস্টের ফলাফল সুনীল ছেত্রীর (Sunil Chhetri) সঙ্গে শেয়ার করেন বিরাট।
বিরাটের ফিটনেস স্কোর দেখে ছেত্রী মুগ্ধ। তবে, ছেত্রী ফিটনেস পরীক্ষায় কোহলি কত নম্বর পেয়েছেন তা প্রকাশ করেননি। ছেত্রী এবং কোহলির মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। ছেত্রী, কোহলিকে ফুটবল কিহ্বদন্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে তুলনা করেছেন। সুনীল ছেত্রী DesiPL পডকাস্টে বলেন, 'কয়েকদিন আগে বিরাট আমাকে তার ফিটনেস পরীক্ষার স্কোর পাঠিয়েছিল। ও দারুণ স্কোর করেছে, এমন মানুষদের সঙ্গে পরিচিতি থাকাটাও দারুণ একটা ব্যাপার। বিরাটের ফিটনেস লেভেল দেখে, অলস দিনেও যে কেউ অনুপ্রাণিত হতে পারে। যখন আপনি শীর্ষে থাকেন, তখন সবাই বিরাট কোহলি বা রোনাল্ডো হতে চায়।'
কোহলি ইয়ো-ইয়ো টেস্টের স্কোর শেয়ার করেলেন
ভারতীয় খেলোয়াড়রা প্রথমে বিসিসিআইয়ের সিওই-তে ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষা করিয়েছিলেন। তারপর হাড়ের শক্তি পরীক্ষা করার জন্য একটি ডিএক্সএ স্ক্যানও করা হয়েছিল। বিরাট কোহলিও লন্ডনে ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষা এবং ডিএক্সএ স্ক্যান করিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের আগস্টে কোহলি যখন তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তার ইয়ো-ইয়ো টেস্টের স্কোর শেয়ার করেছিলেন, তখন অনেক হৈচৈ পড়ে যায়। বিসিসিআই ভারতীয় খেলোয়াড়দের অনলাইনে ফিটনেস স্কোর শেয়ার না করার পরামর্শ দিয়েছিল কারণ এটি চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঙ্ঘন করতে পারে।
ফিরে আসার লড়াইয়ে সুনীল ছেত্রীও
সুনীল ছেত্রী বলেন, বিরাট কোহলি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) একটা ব্যাপার দেখেই আমার দারুণ লাগে, তারা এতড়া সফল হওয়ার পরেও তা নিয়ে কখনই সন্তুষ্ট হন না। তা সে সাফল্য যতই বড় হোক না কেন।' ছেত্রীর মতে, তারা দুজনেই সর্বদা নিজেদের উন্নতি করার চেষ্টা করেন। ছেত্রী বলেন, তিনিও তাঁর জীবনে একই ভাবে চেষ্টা করে চলেছেন। প্রসঙ্গত, মানেলো মার্কেজ ভারতীয় দলের কোচ থাকাকালীন, সুনীল অবসর ভেঙে ভারতীয় দলে যোগ দেন। এরপর খালিদ জামিল কোচ হিসেবে ফিরে আসার পর, তাঁর দলে জায়গা হয়নি। সেই কারণেই ফের ফিরে আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন জাতীয় দলের জার্সিতে।