আর্জেন্টিনার নতুন জার্সিফুটবল বিশ্বে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। তবে ২০২৬-এর বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জার্সি বানালেন ব্রাজিলের ডিজাইনার মারেকো। অ্যাডিডাস এই জার্সির বিপণনের দায়িত্বে। ২০২৬ বিশ্বকাপে মেসিদের জন্য প্রস্ততকৃত জার্সি নিয়ে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবো’র সঙ্গে কথাও বলেছেন ডিজাইনার মারেকো। পরের বছর মেক্সিকো ও আমেরিকায় হবে বিশ্বকাপ।
ডিজাইনার মারেকো বলেন, 'প্রাথমিকভাবে আর্জেন্টিনার চ্যাম্পিয়ন হওয়া আসরে পরিহিত প্রতিটি জার্সি থেকে নীল রঙের শেড নতুন নকশায় ব্যবহৃত হয়েছে। আমরা আগের তিন জার্সির শেড সমন্বয় করেছি। ফলে নীল রঙের তিনটি ভিন্ন শেড–ই থাকবে আর্জেন্টিনার ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সিতে। স্ট্রাইপ ও গ্রেডিয়েন্টে আকাশী-সাদা রঙের ব্যবহার পুরোনো হলেও, মেসিদের নতুন জার্সিতে আধুনিকতার ছোঁয়া রাখার চেষ্টা করেছি। ‘পুরো জার্সির নকশা আমি একটা করিনি, বরং বড় দলের মাধ্যমে এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ওই দলে আর্জেন্টাইনসহ ভিন্ন ভিন্ন জাতীয়তার লোকও ছিলেন। জার্সি প্রস্তুতে সবার বিবেচনায় ছিলেন মেসি, ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
ব্রাজিলিয়ান বৈশিষ্ট্য সর্বত্র ধারণ করলেও জার্সি ডিজাইনে তাঁর প্রভাব থাকে না বলেও জানান মারেক। তার ভাষ্য, সাধারণত ফুটবলে আমি আমার ব্রাজিলিয়ান বৈশিষ্ট্যটাই নিয়ে আসি, তবে কেবল জার্সিতে নয়। ব্রাজিলিয়ানদের নমনীয়তা বা মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতার দিকটাও আমার মাঝে আছে। হয়তো আমাদের নানা ব্যবহারিক বিষয় নিয়ে কথা হয়, কিন্তু আমি ব্রাজিলিয়ানদের সেই বাস্তব নমনীয়তাটাই পছন্দ করি।
তিনি আরও বলেন, যা আমরা প্রয়োজনে উৎপাদনের কোনো সমস্যা সমাধানেও ব্যবহার করি। তবে জার্সির নকশা তৈরি পুরো দলের সম্মিলিত কাজ, যেখানে বিভিন্ন দেশের ডিজাইনার যুক্ত আছেন। ইতিমধ্যেই লিওনেল মেসি পরের বিশ্বকাপে খেলবেন কিনা তা নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, তিনি অন্তত পরেরবারের বিশ্বকাপে খেলতে পারেন। যদিও তিনি কতটা ফিট থাকবেন সেটাই দেখার। ভক্তরা যদিও স্বাভাবিক ভাবেই চাইছেন পরের বিশ্বকাপে অন্তত খেলুন সুপারস্টার ফুটবলার।