মোহনবাগানের পর এবার ইস্টবেঙ্গল। পুলিশ এসি-র বিরুদ্ধে হারতে হল লাল-হলুদকে। ফলে শীর্ষে যাওয়া হল না বিনো জর্জের ছেলেদের। কলকাতা লিগে মোহনবাগানকে হারানোর পর বেহালা এসএস’কে দিয়েছিল ছ’গোল দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। রবিবার আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়েই বারাকপুর স্টেডিয়ামে নেমেছিলেন বিনো জর্জের ছেলেরা। কিন্তু এই ম্যাচে পুলিশ এসি’র কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল মশাল বাহিনী।
চলতি বছর মোহনবাগানকে তারা হারিয়েছিল। সেই ম্যাচে একমাত্র গোল করেছিলেন মহম্মদ আমিল নঈম। আর এদিনও ইস্টবেঙ্গলকে বেগ দিলেন তিনি। পুলিশের আক্রমণ সামলাতে না পেরে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা ভুলভাল ট্যাকল করতে শুরু করে। ১১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে তাঁর গোলেই এগিয়ে যায় পুলিশ। এরপর দুই দল কিছু সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। প্রথমার্ধে শেষ হয় পুলিশের পক্ষে ১-০ অবস্থায়।
দ্বিতীয়ার্ধে আশা করা হয়েছিল, ঘুরে দাঁড়াবে ইস্টবেঙ্গল। তবে ইস্টবেঙ্গল ফিরতে পারেনি। প্রতিপক্ষ দলে থাকা কলকাতা ময়দানের অভিজ্ঞ মুখ ফয়জল আলি, সুরজিৎ শীল, উইলিয়ামরা অনবদ্য ফুটবল উপহার দিয়ে রুখে দেন ইস্টবেঙ্গলকে। বারবার আক্রমণ রুখে দেন পুলিশের ডিফেন্ডাররা। সেই সঙ্গে বারবার মিস পাস সমস্যা আরও বাড়ায়। ডার্বিতে দারুণ খেলার পর বিএসএস-কে ৬ দিলেও সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারল না। ফলে হারতে হল লাল-হলুদকে।
৭৫ মিনিটে ফের গোল খেয়ে বসে ইস্টবেঙ্গল। পুলিশের হয়ে ব্যবধান বাড়ায় মৃন্ময় মহাপাত্র। এরপর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও কাজের কাজ করতে পারেনি লাল-হলুদ। এই সময় পুলিশের রক্ষণভাগের ফুটবলাররা অনবদ্য খেলেন। খেলা যত শেষের দিকে এগোতে শুরু করে, ততই দূর্ভেদ্য হয়ে ওঠে পুলিশের রক্ষণ। মশালবাহিনী বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করলেও, আদতে সেগুলো কোনও কাজে লাগেনি। অবশেষে পরাজয়ের ব্যর্থতা বুকে নিয়েই ব্যারাকপুর স্টেডিয়াম ছাড়ল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। শেষমেশ পুলিশ এসি’র কাছে ০-২ গোলে পরাজিত হয়ে মাঠ ছাড়তে হল ইস্টবেঙ্গলকে। ফলে শীর্ষে যাওয়া হল না ইস্টবেঙ্গলকে।