প্রথম ম্যাচে ৭ গোলে দুরন্ত জয়। চ্যাম্পিয়নের মতোই কলকাতা লিগ অভিযান শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। তবে শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ বেশ কিছুটা শক্তিশালী। অভিজ্ঞ ফুটবলারে ঠাসা সুরুচি সঙ্ঘ (Suruchi Sangha)। সব থেকে বড় কথা প্রতিপক্ষের কোচের নাম রঞ্জন ভট্টাচার্য। আর এই ম্যাচের আগেই বেশ চিন্তায় ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ (Bino George)।
চিন্তার প্রধান কারণ সেই চোট। ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে অভিষেকেই গোল করা মনোতোষ মাঝির কুঁচকির চোট। বৃহস্পতিবার রাজারহাটে অনুশীলনে দেখা গেল তিনি সাইডলাইনে। মনোতোষ শুক্রবার নেই। দলের মূল স্ট্রাইকার জেসিন টিকে-র আগে থেকেই গোড়ালির চোট। সেই নিয়েই প্রথম ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে নেমে দু'গোল করেছিলেন।
অ্যাস্টোটার্ফের মাঠে অনুশীলন করতে নেমে গোড়ালিতে আবার ব্যথা অনুভব করেন জেসিন। প্রথমে ঠিক ছিল সুরুচির বিরুদ্ধেও পরিবর্ত হিসেবে নামবেন। যা পরিস্থিতি, তাতে শুক্রবার তাঁর মাঠে নামা হচ্ছে না। ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। ফলে কোচ বিনোর হাতে দুটো অপশন। বাকি দল অপরিবর্তিত রেখে অনভিজ্ঞ স্ট্রাইকার অ্যান্ড্রুজকে আক্রমণভাগে খেলানো। আর না হলে, আদতে উইঙ্গার আমন সিকে-কে স্ট্রাইকার খেলিয়ে, উইংয়ে রোশালকে নিয়ে আসা। তবে প্রথমটারই সম্ভাবনা বেশি। রিজার্ভ দলের কোচ বিনো জর্জ বলছেন, 'কলকাতা লিগ আমাদের যুব ফুটবলারদের জন্য দারুণ মঞ্চ। সুরুচি সঙ্ঘ শেষ ম্যাচ ভাল খেলেই জিতেছে। আশা করছি, উপভোগ্য লড়াই হবে।'
অন্যদিকে, সুরুচি সঙ্ঘে রয়েছেন তোতন দাস, বলরাম মান্ডি, শুভম রায়, তন্ময় ঘোষ, বাবলু ওঁরাওয়ের মত অভিজ্ঞ ফুটবলাররা। বিশেষত মাঝমাঠ বেশ শক্তিশালী। প্রথম ম্যাচে কালীঘাট এমএসকে চার গোলে উড়িয়ে তারা অভিযান শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলছেন, 'কলকাতা লিগে তিন প্রধান এখন যে দল খেলায়, তাতে তাদের আলাদা করে বড় দল বলার কারণ নেই। সুরুচিতে যে ফুটবলাররা খেলবে, তাদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের লিগে খেলা থাকা ফুটবলারদের মানের খুব একটা পার্থক্য নেই। তাই আমরা মোটেই ভয় পাচ্ছিনা। লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের লক্ষ্য রেখে দল এগোচ্ছে।'সব মিলিয়ে, শুক্রবার নৈহাটিতে একটা টানটান লিগের ম্যাচ দেখার অপেক্ষা করছে বাংলার ফুটবল মহল।