কলকাতা ফুটবল লিগে (CFL) একটি নির্দিষ্ট ক্লাবকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। তবে তা নতুন মাত্রা নিলো এবারে। অভিযোগ জানালো মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। সবুজ-মেরুন ক্লাবের অভিযোগ বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। আর বাংলা ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা আইএফএ তাদের মদত দিয়ে যাচ্ছে।
আইএফএ-এর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?
মোহনবাগানের অভিযোগ, একটি ক্লাবকে তাদের আবদারে ম্যাচের সময় বদলে দেওয়া অবধি ঠিক ছিলো, কিন্তু শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাতিল? যেখানে মোহনবাগানকে খেলতে হচ্ছে ৩ দিন পরে পরেই। এ নিয়েই ক্ষুব্ধ মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট! আসলে ইস্টবেঙ্গল বনাম বিএসএস ম্যাচ হঠাৎ বাতিল হয়ে যাওয়া নিয়েই সমস্যা। গতকাল মহমেডান - ইউনাইটেড ম্যাচ যে মাঠে হয়েছে, তার থেকে গতকাল মাঠের পরিস্থিতি অনেকগুন ভালো ছিলো। সেই মাঠে গত পরশু মোহনবাগানের খেলা হলেও গতকাল মাঠের অজুহাত দিয়ে অজ্ঞাত কারণেই পিছিয়ে গেলো ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ।
ফের ডার্বির আগে নাটক
আগামী সপ্তাহে কলকাতা ডার্বি, তার আগে মোহনবাগানকে খেলতে বাধ্য করা হচ্ছে মোট ৫টি ম্যাচ, যেখানে প্রতিপক্ষ লাল-হলুদ তুলনামূলক কম ম্যাচ খেলেই মাঠে নামবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতি হলে সমস্যা ছিলো না, কিন্তু, যে ধরনের মাঠে পরপর ম্যাচ খেলছে মোহনবাগান, তাতে প্লেয়ারদের চোট, আঘাত-এর সম্ভবনা বাড়তে পারে!
সুবিধা পাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল?
মোহনবাগান এখানেই ক্ষুব্ধ, কোনো অদৃশ্য কারণে কেনো সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হবে অন্য আরেক ক্লাবকে? মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট থেকে আজ IFA কে এই মর্মে'ই চিঠি দেওয়া হচ্ছে; ক্ষোভ জানানো হয়েছে এই আচরণের। তা হলে কি আবার ডার্বি বয়কটের পথে হাঁটবে সবুজ-মেরুন? সেটা যদিও এখনও পরিস্কার নয়। সে রকম কিছু ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি। তবে যদি আইএফএ-এর থেকে এ ব্যাপারে কোনও সদুত্তর না আসে তা হলে সে পথে হাঁটতে পারে মোহনবাগান। কারণ আগেও বহুবার নানা কারণ দেখিয়ে তারা ডার্বিতে খেলতেই আসেনি। ফলে এমন ঘটনা নতুন নয়।