বছর দুয়েক আগে কলকাতা লিগেই (Kolkata League) নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মহমেডান স্পোর্টিং-এর (Mohammedan Sporting) জার্সিতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। ২১ ম্যাচে ২১ গোল। ভারতীয় স্ট্রাইকারদের নিয়ে হাহাকার যখন বাড়ছে তখন এই পরিসংখ্যানকে গোলের বন্যা বললেও কম বলা হয়। তবে শুধু কলকাতা লিগ নয়, ডুরান্ড কাপেও (Durand Cup) সবচেয়ে বেশি গোল এসেছিল তাঁর কাছ থেকেই।
এরপরেই ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) স্পটারদের নজরে আসেন ডেভিড। তবে গত আইএসএলে (ISL) ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে অদ্ভুতভাবে তিনি খুব কম সুযোগ পান। তার মধ্যেই চারটে গোল করেন। এবার ইস্টবেঙ্গলে জোড়া বিদেশি স্ট্রাইকার। তিনজন বিদেশি মিডফিল্ডার। তাই ডেভিডের সুযোগ পাওয়া চ্যালেঞ্জই। আর সুযোগ পেলেও তাঁকে থাকতে হবে গোলের মধ্যে। তার জন্য প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস।
মহমেডান জার্সিতে ডেভিডের গোলের ঝলক
এবারেও দারুণ ছন্দে ডেভিড
সেই আত্মবিশ্বাস পাওয়ার উপায়? ডেভিডকে অন্য কোনও প্রতিযোগিতায় খেলে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। আর সেখানে যে লিগ তাঁকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিল, সেই কলকাতা লিগের থেকে ভাল মঞ্চ আর কী হতে পারে? তবে হয়তো কলকাতা লিগের দলে তাঁকে দেখাই যেত না। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দলের আক্রমণভাগ নিয়ে সমস্যা হওয়ায়, বাধ্য হয়ে লিগের ডার্বির আগে রিজার্ভ দলে ডেভিডকে ছাড়া হয়। আর লিগের ডার্বিতে মোহনবাগান যখন ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে এনেছে, তখন জ্বলে ওঠেন ডেভিড। তাঁর জয়সূচক গোলে মশাল জ্বলে কল্যাণীতে।
'কলকাতা লিগ সবসময় স্পেশাল'
পরের বিএসএস ম্যাচেও একটি ভাল গোল এবং একটি অ্যাসিস্ট। কলকাতা লিগে পরপর ম্যাচে গোল পাওয়ার আত্মবিশ্বাস, ডুরান্ড কাপে কাজে লাগাতে পারলে সিনিয়র দলে জায়গা পাকা করার পথে এগোবেন এই পাহাড়ি স্ট্রাইকার। তাঁকে বাড়তি সুযোগ দেওয়ার দাবি তুলেছেন সমর্থকরাও। আর যাঁকে নিয়ে আলোচনা, সেই ডেভিড কী বলছেন? তাঁর চেনা কলকাতা লিগের মঞ্চ থেকেই কি তিনি আবার চেনা ডেভিডকে খুঁজছেন? খুবই কম কথা বলেন। তবু, বিএসএসের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমের বাইরে দাঁড়িয়ে ডেভিড বলেন, 'কলকাতা লিগ আমার কাছে সবসময় স্পেশ্যাল। এখানে পরপর ম্যাচে গোল করে ভাল লাগছে।' সিনিয়র দলে জায়গা পাকা করার বিষয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী? উত্তর দেওয়া যে তাঁর পক্ষেও কঠিন সেটা ভালভাবেই জানেন পাহাড়ি তারকা। তাই একটা হাঁসি দিয়েই এগিয়ে গেলেন গন্তব্যে।