ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালেও ডার্বি হতে পারে। সাধারণ ভাবে মরসুমের প্রথম ডার্বি হয় ডুরান্ড কাপেই। কারণ প্রায় প্রতিবারই একই গ্রুপে রাখা হয় মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ও ইস্টবেঙ্গলকে। তবে এবার তা হয়নি। দুই দলকে আলাদা গ্রুপে রেখে দেওয়া হয়েছে ডুরান্ড কমিটির পক্ষ থেকে। তবুও শেষ আটে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গ্রুপ এ-তে ছিল ইস্টবেঙ্গল। গ্রুপ বি-তে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। এভাবেই ৬টা গ্রুপ হয়েছে এবারে। সব গ্রুপের শীর্ষে থাকা দল সরাসরি নক আউটে। বাকি দুই দল ঠিক হবে, ৬টা গ্রুপের মধ্যে গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকার ভিত্তিতে। তবে দুই বড় দলের মধ্যে কোনও দলই দুই নম্বরে নেই। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। যদিও ডুরান্ড কমিটি এরপর আবার লটারি করতে চাইছে।
সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই দুই ক্লাবের কাছেই ১৭ অগাস্ট ডার্বি আয়োজনের ব্যাপারে চিঠিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে এখনও প্রি সিজন চলছে। এর মধ্যে নক আউট পর্বে দুই দলের কোনও এক দল ম্যাচ হেরে গেলে ডার্বি হবে না। ফলে সেই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না ডুরান্ড কর্তারা। যেভাবেই হোক কোয়ার্টার ফাইনালে ডার্বি ম্যাচ আয়োজন করে ফেলতে মরিয়া তারা।
অনুশীলনেও তাই বাড়তি তৎপরতা নজরে এসেছে। মোহনবাগান শিবির যদিও কিছুটা চিন্তায় মনবীর সিং-এর চোট নিয়ে। তবে যে ছন্দে দুই দল তাদের মরসুম শুরু করেছে, তাতে কোয়ার্টার ফাইনালের ডার্বি জমে যেতে পারে। দুই দলই প্রতিপক্ষদের প্রায় উড়িয়ে দিয়ে শেষ আটে পৌঁছে গিয়েছে। গোল পার্থক্যের হিসেব করলে দেখা যাবে, মাত্র ১ গোল পিছিয়ে সবুজ-মেরুন। দুই দলের পয়েন্ট যে একই তা বলাই বাহুল্য। কলকাতা লিগের ডার্বি জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। এবার ডুরান্ড ডার্বি জিতে সেই হিসেবও বরাবর করতে চায় মোহনবাগান।
এদিকে কোয়ার্টার ফাইনালে কলকাতা ডার্বি হওয়ার একটা জল্পনা চলছে। তখনই ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো হুঙ্কার দিলেন। বলেন, 'জানি না ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ কি ঠিক করবেন, তবে প্রতিপক্ষ যেই হোক আমরা খেলতে প্রস্তুত'। অন্যদিকে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট কোচ হোসে মলিনা এ ব্যাপারে কিছু না বললেও, সভাপতি দেবাশিস দত্ত জানিয়ে দিয়েছেন, 'যে কোনও প্রতিপক্ষকেই মোকাবিলা করতে তাদের দল প্রস্তুত।'