
মিনি ডার্বি জিতল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। ১০ জনে খেলেও ৩-১ গোলে মহমেডান স্পোর্টিংকে হারাল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। বিশাল কাইথের নেতৃত্বে ডুরান্ড কাপে অভিযানে শুরু থেকেই উজ্জ্বল মোহনবাগান। সবুজ-মেরুন জার্সিতে প্রথম ম্যাচ খেলেছেন অভিষেক সিং টেকচাম। দলে ছিলেন কিয়ান নাসিরি, লিস্টন কোলাসোরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিল মোহনবাগান। সুহেল আহমেদ ভাট সেই সুযোগ নষ্ট করেন। পোস্টে লেগে ফেরে তাঁর শট। দল এগিয়ে যায় ২২ মিনিটেই।বক্সের বাইরে ফাউল করেন মহমেডানের লালমানওয়ামা। ফ্রি কিক পায় মোহনবাগান। গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লিস্টন কোলাসো। এরপরেও একের পর এক সুযোগ পেয়ে যায় মোহনবাগান তবে গোল হয়নি।
কেন লাল কার্ড দেখলেন আপুইয়া
তবে ৪২ মিনিটে লাল কার্ড দেখতে হয় আপুইয়া রালতেকে। দুই দলের ফুটবলাররা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ট্যাকল করা নিয়ে বিপক্ষের সঙ্গে ঝগড়া আপুইয়ার। সেই থেকে তিনি ঢুঁসো মারেন মহামেডানের অধিনায়ক দীনেশ মিতেইকে। সরাসরি তাঁকে লাল কার্ড দেখান রেফারি আদিত্য পুরকায়স্থ। হলুদ কার্ড দেখানো হয় মহামেডানের রাগুইকে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে লড়াইয়ে ফিরে আসে মহমেডান। লালথামকিমার দূরপাল্লার শট বাঁচান বিশাল কাইথ। তাঁর হাতে বল লেগে বেরিয়ে যায়। ফিরতি বলে গোল করেন অ্যাশলে। এরপর সজলের দূরপাল্লার দুর্দান্ত শট। কোনওমতে আটকে দেন বিশাল কাইথ। তাঁর বডিতে লেগে বল ফিরে আসে, ফিরতি বলে গোল করতে পারল না মহমেডান।
তবে মোহনবাগান এগিয়ে যায় ৬৩ মিনিটে। গোল সুহেল আহমেদ ভাটের। একক দক্ষতায় তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে সুহেল ভাটকে বল দেন লিস্টন কোলাসো। গোলকিপারকে একা পেয়ে শট নেন সুহেল। গোলকিপারের শরীরে বল লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে শট নিয়ে গোল করেন সুহেল। ৬৩ মিনিটে ২-১ গোলে এগিয়ে গেল মোহনবাগান। লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টায় চার ফুটবলার বদল করে ফেলেন মহমেডান কোচ মেহেরাজউদ্দিন ওয়াডু।
শেষ বেলায় লিস্টনকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন মিতেই। পেনাল্টি পেল মোহনবাগান। ৩-১ গোলে শেষ হল ম্যাচ।