অবশেষে জয় গুপ্তা (Jay Gupta) সই করে ফেললেন ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal)। খবর আগে থেকেই ছিল, আর সেটাই সত্যি হল বুধবার। সই পর্ব শেষ হওয়ায় জয় এখন সরকারিভাবে লাল-হলুদের ফুটবলার। দলের বাকিরা অনুশীলন শুরু করে দিলেও জয় যোগ না দেওয়ায় সমর্থকদের উদ্বেগ বাড়ছিল। এবার সেই উদ্বেগও কেটে যাওয়ার পথে। কিছুদিনের মধ্যেই জয়কে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার বলে সরকারি ঘোষণা হয়ে যাবে বলেই আশা করা যায়।
আগেই হেডকোচ মানেলো মার্কেজের পরিকল্পনায় যে তিনি নেই তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল এফসি গোয়া (FC Goa)। আর এবার সেই ঘোষণাতেই শিলমোহর পড়ার অপেক্ষা। গত দুই মরসুম গোয়ার হয়ে খেলেছেন এই ডিফেন্ডার। তবে এবার জার্সি বদল। লাল-হলুদ কর্তারা জয়কে যে কোনও মূল্যে পেতে চেয়েছিলেন। রেকর্ড পরিমাণ ট্রান্সফার ফি দিতেও পিছু পা হননি তাঁরা। মার্তান্ড রায়না, রামসাঙ্গা টিলাইছুন, এডমুন্ড লালরিনডিকা, বিপিন সিং-এর পর পঞ্চম ফুটবলার হিসাবে জয়কে দলে নিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল।
জয় গত মরসুমে সেভাবে গোয়া দলে সুযোগ পাননি। এবারে ইস্টবেঙ্গলে এসে সেই ধারা বদলে যাবে বলেই আশা ক্লাবের সমর্থকদের। কবে জয় মাঠে নামবেন সে ব্যাপারে এখনও জানা যায়নি। পাশাপাশি তিনি এখনও কলকাতায় আসেননি। আশা করা হচ্ছে দ্রুত প্রস্তুতি সুরু করে দেবেন এই ডিফেন্ডার। আসলে একটা সইয়ের কারণেই আটকে ছিল গোটা প্রক্রিয়া। সেটা বুধবার মিটে যাওয়ায় জয়কে সই করাতে সমস্যা হবে না ইস্টবেঙ্গলের।
রবিবার ডার্বি ম্যাচে খেলতে নামবে লাল-হলুদ। ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচে জয় খেলবেন কিনা সেটা অস্কার ব্রুজো সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এটা বলাই যায়, তিনি দলে যোগ দিলে লাল-হলুদের দল আরও শক্তিশালী হবে। ইতিমধ্যেই ছন্দে দেখাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। আর সেটাই আশা জাগাচ্ছে ক্লাবের সমর্থকদের। তবে অবশ্যই কোয়ার্টার ফাইনাল জিততে হবে তাদের। কারণ মোহনবাগানের বিরুদ্ধেই আপাতত শক্তির আসল পরীক্ষা তাদের কাছে।