East Bengal Transfer News: ইউরোপা লিগে খেলা স্ট্রাইকারকে টার্গেট করছে ইস্টবেঙ্গল, কত টাকা খরচ হবে?

ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) গতবারের ব্যর্থতা কাটিয়ে এবারে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। এর মধ্যেই একের পর এক তারকা ফুটবলারকে সই করাচ্ছে লাল-হলুদ ক্লাব। তবে এর মধ্যেই ইউরোপা লিগ (Europa League) খেলা ফুটবলারকে সই করার চেষ্টা চালাচ্ছেন অস্কার ব্রুজোরা এমনটাই সূত্রের খবর। পোল্যান্ডের লিগে খেলা ফুটবলারকে সই করাতে চাইছে তারা।

কাকে সই করাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল?
উইসলা ক্রাকাও ক্লাব ২০০০ সাল থেকেই দারুণ ছন্দে। আর সেই ক্লাবের স্ট্রাইকার অ্যাঞ্জেলো রোডাডোকেই টার্গেট করছে ইস্টবেঙ্গল এমনটাই সূত্রের খবর। ২৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার ৩২টা ম্যাচ খেলেছেন এ মরসুমে। করেছেন ২৩টি গোল। আর তার সঙ্গে ৬টা অ্যাসিস্ট। তবে তাঁর দাম শুনে চোখ কপালে উঠেছে লাল-হলুদ সমর্থকদের। ১২ কোটি টাকা দাম তাঁর। এত টাকা আদৌ দিতে পারবে ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থা ইমামি? তা নিয়েই সন্দেহ তাদের।

কেমন ফুটবলার এই উইসলা ক্রাকাও? 
স্প্যানিশ এই তারকা মালোর্কা অনূর্ধ্ব-১৯, বার্সেলোনা বি দলে খেলেছেন। ফলে তাঁর অভিজ্ঞতা যে বেশ বেশি তা বলাই যায়। নতুন মরসুমে ৩ ফুটবলারকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়া দিমিত্রিয়াস ডিয়ামানটাকোসকে ছাড়তে পারছে না তারা। সে ক্ষেত্রেও মূল সমস্যা টাকা। কারণ তাঁকে ছাড়তে গেলে বিপুল পরিমাণ টাকা দিতে হবে লাল-হলুদকে। সেই কারণেই গ্রিক তারকাকে ছাড়তে পারছে না ইস্টবেঙ্গল। 

শুধু ডিয়ামানটাকোসের উপর ভরসা না রেখে আরও এক তারকা স্ট্রাইকারকে সই করাতে চাইছে তারা। ইস্টবেঙ্গল গোল করার ক্ষেত্রে আগেরবার বেশ সমস্যায় পড়লেও, এবারে সেই ভুল করতে নারাজ লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে এক্ষেত্রেও টাকা একটা বড় ফ্যাক্টর হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। 

কাদের সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল?
নতুন মরসুমের জন্য এখনও পর্যন্ত মিগুয়েল ফিগুয়েরা আর মহম্মদ রাশিদকে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত করেছে ইস্টবেঙ্গল।  সূত্রের খবর, ইতালির আলেসান্দ্রো কপোলা, নেদারল্যান্ডসের অ্যালেক্স শাল্কের বায়োডাটা এসেছে। দেশিয় ফুটবলারের মধ্যে বিপিন সিং, এডমুন্ড লালরিন্ডিকা, মার্তান্ড রায়না, রেমসাঙ্গাদের প্রায় পাকা করে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। রাহুল ভেকে, অভিষেক সিংদের নেওয়ার লড়াইয়েও ভীষণ ভাবে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সূত্রের খবর, মেহতাব সিং চ্যাপ্টার অনেক কঠিন হলেও আশা ছাড়ছে না ম্যানেজমেন্ট।