দিমিত্রিতাস ডিমানটাকোসকে ছেড়ে দিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই খবর জানাল লাল-হলুদ ক্লাব। গত মরসুমে ডিমানটাকোস ভাল খেলতে না পারলেও, এ মরসুমে ধীরে ধীরে ছন্দ ফিরে পাচ্ছিলেন। বিশেষ করে ডার্বি ম্যাচে দারুণ গোল করে সেই বার্তাই দিয়েছিলেন গ্রীক ফুটবলার।
কেন সম্পর্ক ভেঙে গেল?
তবে সেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হল না। ডুরান্ড কাপ শেষ হওয়ার পরেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ইস্টবেঙ্গল। তবে তাঁর জায়গায় কে? জানা যাচ্ছে, মাদিহ তালাল গত মরসুমে খেলতে না পারলেও, এ মরসুমে তিনি সুপার কাপের আগেই ফেরত আসতে পারেন। কারণ তিনি জোর কদমে প্রস্তুতি সারছেন। তবে এক্ষেত্রেও একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, তা হল গোল করবেন কে? তবে কি ভারতোয় স্ট্রাইকারদের দিয়েই বাজিমাত করতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল?
তিন জন ভারতীয় স্ট্রাইকার রয়েছে দলে
এডমুন্ড লালরিন্ডিকা, আমন সিকে, ডেভিড লালহানসাঙ্গা দলে রয়েছেন। এই তিনজনেই স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতে পারেন। তবে তাদের দিয়ে গোটা মরসুমে নিয়মিত গোল পাওয়া কি সম্ভব? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। তবে ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে ভাল মানের স্ট্রাইকার সই করানো বেশ চাপের। তবে কি ডিসেম্বরে আইএসএল শুরু হতে পারে এটা আঁচ করেই এমনটা করল লাল-হলুদ। যাতে ডিসেম্বরের ট্রান্সফার উইন্ডোকে কাজে লাগিয়ে নতুন ভাল মানের স্ট্রাইকার সই করিয়ে নেওয়া যায়?
ইস্টবেঙ্গলের উদ্দেশ্য বোঝা না গেলেও, সমর্থকদের একাংশ এই মরসুম শুরু হওয়ার আগে চূড়ান্ত ব্যর্থ গ্রীক স্ট্রাইকারকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন তাঁরা। তবে বিরাট ক্ষতিপূরণের কথা মাথায় রেখেই সেই কাজ করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট। মরসুমের প্রথম ডার্বিতে ডিমানটাকোস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি ফর্মে ফিরছেন। তবে ডুরান্ড সেমিফাইনালে লাল-হলুদ ছিটকে যাওয়ার কিছুদিন পরেই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত জানালো ক্লাব। তবে ডিমানটাকোসের সঙ্গে ক্লাবের কী হয়েছে তা জানা যায়নি।