ডার্বি জেতার পর ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকদের চিন্তা হামিদের চোট। ডার্বিতে ম্যাচ চলাকালীন চোট পান এই স্ট্রাইকার। বাধ্য হয়ে দিমিত্রিয়াস ডিমানটাকোসকে নামান কোচ অস্কার ব্রুজো। সেমিফাইনালের লড়াই কঠিন। কারণ, ডার্বি জেতার পর ডায়মন্ড হারবার এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচ। ডার্বি জেতার পরে এমন ম্যাচ খেলা সহজ নয়। হাতে সময়ও খুব বেশি নেই। এর মধ্যে কি সুস্থ হতে পারবেন হামিদ?
ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 'মনে করা হচ্ছে, বড় চোট নয়। মাসল পুল বলে মনে হচ্ছে। কাল দেখা যাক। কাল সবার ছুটি, মঙ্গলবার থেকে সেমিফাইনালের প্রস্তুতি শুরু।' ফলে সোমবার চিত্রটা পরিস্কার হবে বলে আশা করা যায়।
এদিন রশিদ না থাকায়, স্ট্রাইকারে একজনকে রেখেই শুরু করেছিলেন অস্কার ব্রুজো। আনোয়ার আলি ও কেভিন সিবিলে দারুণ ছন্দে। ফলে কিছুক্ষেত্র ছাড়া লাল-হলুদ ডিফেন্সে চাপ পড়েনি। বল স্ন্যাচ হয়ে গিয়েছে মিডফিল্ডেই। যে কাজটা রশিদ একা করতেন, সেটাই সবাই মিলে করেছেন। গ্যালারিতেও দেখা রশিদকে নিয়ে ব্যানার, যেখানে লেখা আছে, তাঁর পাশে থাকার অঙ্গীকার। যুদ্ধবিদ্ধস্ত প্যালেস্তাইন থেকে উঠে আসা এই ফুটবলার এবার ইস্টবেঙ্গলে। প্রথম কিছু ম্যাচেই জাত চিনিয়ে দিয়েছেন। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া, মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর আশ্রয় ইস্টবেঙ্গল। যা রবিবার করে দেখাল অস্কারের দল। ঘুরে দাঁড়ানোর সুচনা যদি এমন হয়, তবে আত্মবিশ্বাসী ইস্টবেঙ্গল যে কোনও দলের বিপদের কারণ হতে পারে।
অস্কার ব্রুজোকে প্রথম ডার্বিতে এসেই দলের হার দেখতে হয়েছিল। যেটা মরসুমের প্রথম ডার্বিতেই ফেরত দিয়ে দিলেন স্প্যানিশ কোচ। রশিদ না থাকায়, পাঁচ মিডফিল্ডার নামিয়ে দিয়েছিলেন অস্কার। দেদার ফাউল করে মোহনবাগান মিডফিল্ডারদের খেলা তৈরিই করতে দেননি। হলুদ কার্ড দেখলেও, এ ম্যাচটা জেতার জন্য মরিয়া ছিল লাল-হলুদ। আর সেই কারণেই কোনও কিছুর তোয়াক্কা করেনি ইস্টবেঙ্গল। জয় তুলে সেমিফাইনালে উঠে এসেছে তারা।