Kolkata Derby: 'পালানোর স্বভাব', শনিবাসরীয় ডার্বিতে মোহনবাগানকে খোঁচা দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের টিফো

ডার্বি ম্যাচে প্রতিপক্ষকে টিপ্পনি কাটবেন না সমর্থকরা তা তো হতে পারে না। আর আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে সামনে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট সমর্থকদের পেয়ে এসিএল-২তে খেলতে না যাওয়ায় খোঁচা দিতে ছাড়লেন না ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। মোহনবাগানের শিল্ড জয় নিয়ে তৈরি সিনেমা 'এগারো'-র গানের লাইন দিয়েই সবুজ-মেরুনের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে দিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা।

Advertisement
'পালানোর স্বভাব', শনিবাসরীয় ডার্বিতে মোহনবাগানকে খোঁচা দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের টিফোইস্টবেঙ্গলের ভাইরাল টিফো

ডার্বি ম্যাচে প্রতিপক্ষকে টিপ্পনি কাটবেন না সমর্থকরা তা তো হতে পারে না। আর আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে সামনে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট সমর্থকদের পেয়ে এসিএল-২তে খেলতে না যাওয়ায় খোঁচা দিতে ছাড়লেন না ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। মোহনবাগানের শিল্ড জয় নিয়ে তৈরি সিনেমা 'এগারো'-র গানের লাইন দিয়েই সবুজ-মেরুনের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে দিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা।

কী ঘটেছে?
১৯১১ সালে শিল্ড ফাইনালে ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে হারিয়ে দিয়েছিল মোহনবাগান। সেই ঘটনা নিয়ে তৈরি সিনেমা এগারোতে একটা গানের লাইন ছিল, 'আমরাই ভিনদেশীদের বিরুদ্ধে এই দেশের জবাব।' কারণ তাঁরা হারিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ডের ক্লাবকে। এবার এসিএল-২ এর ম্যাচে সোপাহান এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে যায়নি মোহনবাগান। ইরানে নিরাপত্তার কারণে খেলতে যায়নি সবুজ-মেরুন। সে কারবণে শাস্তিও পেতে হয়েছে তাদের। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সমর্থকরা। টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে তো বটেই দলের ফুটবলারদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ দেখিয়েছেন মেরিনার্সরা।

কী লেখা ছিল ব্যানারে
শনিবারের ডার্বিতে ব্যানার নিয়ে এসেছিলেন। সেখানে লেখা ছিল, 'আমাদের ভিনদেশীদের বিরুদ্ধে পালানো স্বভাব।' অর্থাৎ সেই ম্যাচ খেলতে না যাওয়া নিয়ে ফের খোঁচা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এর মধ্যেই ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে হোসে মলিনার বক্তব্য আগুনে ঘি ঢেলেছে। ডার্বিতে সমর্থকদের পাশে পেতে চান। তবে তাঁদের বিক্ষোভের পাশেই এসে দাঁড়ালেন মোহনবাগানের হেডকোচ। সমর্থকদের দাবি ছিল, ম্যানেজমেন্টের ব্যর্থতার জন্যই ইরান যায়নি সবুজ-মেরুন। আর সেটা অনেকটাই স্পষ্ট হল মলিনার কথায়। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আমরা জানি সমর্থকরা খুশি নয়। ফুটবলাররা ইরান যেতে চায়নি। আমার কোনও সমস্যা ছিল না। এখন জিতলেই সমর্থকরা খুশি হবে। সেটাই ফুটবলারদের বোঝাচ্ছি।' 

কী বললেন মলিনা?
সমর্থকদের আবেগ বুঝতে পেরে মোহনবাগান হেডকোচ আরও বলেন, 'সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, অন্তত ৯০ মিনিট দলকে সমর্থন করুন। তারপর আবার নিজেদের অবস্থানে থাকুন।' আইএফএ শিল্ডের ডার্বিতে টিকিট বিক্রির দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান সমর্থকদের একাংশ এখনও বয়কটের রাস্তা থেকে অনড়। ফলে টিকিট বিক্রি অনেকটাই স্লথ হয়েছে। সে কারণেই ম্যাচের দিনও চলবে টিকিট বিক্রি। যা ইতিপূর্বে দেখা যায়নি। ডার্বি মানেই গত কয়েক বছর ধরে দেখা গিয়েছে মোহনবাগান সমর্থকদের বাড়তি উৎসাহ। তবে এবার যে তাতে ভাটা পড়েছে তা বলা যায়। 
  

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement