চলতি মরসুমে দল গঠনে চমক দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। শক্তিশালী স্কোয়াড গড়ার পাশাপাশি বেঞ্চ স্ট্রেংথও বাড়িয়ে নিয়েছে তারা। তবে এর মধ্যেও রাইট ব্যাক' এ এখনও ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। এই কারণেই ওই পজিশনে একজন মানানসই ফুটবলার নিতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই তিনজন খেলোয়াড়কে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করেছে লাল-হলুদ শিবির।
ভালপুইয়াকে নিয়ে গুঞ্জন
অস্কার ব্রুজোর পছন্দের তালিকার আছেন মুম্বই সিটি এফসির ডিফেন্ডার ভালপুইয়া। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মুম্বইয়ের রক্ষণভাগের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছেন তিনি। তাঁর খেলার ধারাবাহিকতা, পজিশন সেন্স এবং বল কন্ট্রোলের প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন কোচ। ইস্টবেঙ্গল তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখালেও মুম্বই সিটি এক মরসুমে এতজন ফুটবলার ছেড়ে দেবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। তবে মনে করা হচ্ছে এবার এই ডিলটাও ক্লোজ করার পথে লাল-হলুদ। তবে একান্তই তা না হলে, দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছেন পঞ্জাব এফসির খাইমিনথাং লুংডিম।
প্ল্যান বি-ও তৈরি রাখছে ইস্টবেঙ্গল
গত দুই মরসুমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে নজরে এসেছেন তিনি। কোচ অস্কার ব্রুজো এই ফুটবলারকে বেশ পছন্দ করেন বলে জানা গেছে কারণ তার খেলায় আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে যা অস্কারের পরিকল্পনার সঙ্গে মেলে। তৃতীয় পছন্দের নাম হিসেবে উঠে এসেছে কেরল ব্লাস্টার্সের সন্দীপ সিং। অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার আইএসএলে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলও শুরু থেকেই ছয় বিদেশিকে রেজিস্টার করিয়ে রাখছে। রশিদ ছাড়াও ব্রাজিলের মিগুয়েল ফেরেরা ও আর্জেন্তাইন ডিফেন্ডার কেভিল সিবলে প্রথমবার লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপাবেন। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসে অস্কারের অধীনে ফুল ফুটিয়েছেন মিগুয়েল। মূলত স্প্যানিশ কোচের পরামর্শেই তাঁকে রিক্রুট করা হয়। মিগুয়েলের মন্তব্য, 'অস্কারের কোচিংয়ে ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে সেরাটা উজাড় করে দিতে চাই।' সেক্ষেত্রে মিগুয়েল ছন্দে থাকলে অস্কারের চিন্তা কিছুটা কমবে। আর্জেন্তাইন স্টপার কেভিন আবার টাফ ফুটবলে দক্ষ। কিন্তু রক্ষণে আপাতত তিনিই একমাত্র বিদেশি। তাঁর অনুপস্থিতিতে ভারতীয় ফুটবলারদের নিয়েই দুর্গ সামলাতে হবে অস্কারকে। বিষয়টি মোটেও সহজ নয়।
স্প্যানিশ ফুটবলার সল ক্রেসপোও চলে এসেছেন শহরে। তাঁর অত্যধিক চোটপ্রবণতা চিন্তার কারণ। অনেকেই চেয়েছিলেন তাঁকে রিলিজ করে নতুন ফুটবলার আনতে। কিন্তু ক্রেসপোকে ছাড়তে গেলে বিশাল টাকা ক্ষতিপূরণ প্রয়োজন। অতএব কোনওরকমে টিকে গিয়েছেন তিনি। মরক্কোর স্ট্রাইকার হামিদ ভিসা সমস্যায় আটকে। তাঁরও দ্রুত কলকাতায় পৌঁছবার কথা।