ইস্টবেঙ্গলে আসতে চলেছেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার। গত মরসুমে স্পেনের ক্লাব সোশিয়াদ ডেপরটিভোতে খেলেছেন কেভিন সিবিল্লে। তাঁকেই এবার লাল-হলুদ জার্সিতে দেখা যেতে পারে। কথাবার্তা বলে হিজাজি মাহেরের সঙ্গে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের পথে ইস্টবেঙ্গল। ফলে ভাল মানের ডিফেন্ডার দরকার ছিল লাল-হলুদের। আর সেই কারণেই আর্জেন্টিনার এই ডিফেন্ডারকে সই করাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল।
নিজের দেশের ক্লাব রিভার প্লেটের হয়ে কেরিয়ার শুরু করা এই ডিফেন্ডার। সেগুন্ডা বি ডিভিশনে ভ্যালেন্সিয়া বি দলের হয়েও খেলেছেন। স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ার মূল দলেও জায়গা পেয়েছিলেন এই ডিফেন্ডার। ২৬ বছর বয়সী কেভিনের সঙ্গে এ বছরই চুক্তি শেষ হচ্ছে তাঁর ক্লাবের। গত মরসুমে ৩২ ম্যাচে ৩ গোলও রয়েছে তাঁর।
মিশরের প্রথম ডিভিশনের ক্লাব এফইউএস রাবাতের হয়ে খেলা এই ফুটবলার এ মরসুমে খেলতে পারেন লাল-হলুদের হয়ে। তিনি খেলেছেন মিশরের ক্লাবের হয়েও। গত মরসুমে ১৯ ম্যাচে ৩টে গোল ও ৩টে অ্যাসিস্ট রয়েছে তাঁর। তবে আইএসএল-এর বিচারে তাঁকে নিতে হলে বিরাট টাকা খরচ করতে হবে লাল-হলুদের। ৩০ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারকে সই করাতে হলে চার কোটি টাকার উপরে খরচ করতে হবে। একটা কনফেডারেশন কাপ, ইজিপ্ট কাপ, ইজিপ্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পাশাপাশি মরোক্কান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন হামিদ। স্ট্রাইকারের পাশাপাশি লেফট উইঙ্গারের ভূমিকায় খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে হেড অফ ফুটবল থাঙ্গবই সিংটো এবং হেড কোচ অস্কার ব্রুজো ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের ও মাদিহ তালালকে জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা আসন্ন মরসুমের জন্য ক্লাবের পরিকল্পনায় নেই। দুই ফুটবলারকে কন্ট্রাক্ট মিউচ্যুয়াল টার্মিনেশন এর জন্য জানানো হয়েছে।। ইতিমধ্যে দুই ফুটবলারই তাদের ইন্সটাগ্রাম বায়োতে ইস্টবেঙ্গল মুছে ফেলেছেন। চেষ্টা চলছে, আরেক স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সল ক্রেসপোকেও রাজি করানোর।
এমনটা হলে, আগামী মরসুমে ইস্টবেঙ্গল দলের খোলনলচে একেবারে বদলে যাবে। তবে শুধু ফুটবলারদের ছাড়া নয়, নতুন ফুটবলার তুলে আনার কাজটাও জোর কদমে চালাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। এর মধ্যেই একের পর এক তারকা ফুটবলারকে সই করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে লাল-হলুদ। গত মরসুমে ডুরান্ড কাপ থেকে শুরু করে আইএসএল ও সুপার কাপেও ব্যর্থ হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এবার আর সে ভুল করতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল। বারবার তারকা ফুটবলারদের চোট, কার্ড খাওয়ার প্রবণতা সমস্যায় ফেলেছিল। আর তাই ভালভাবে দেখে শুনে এ মরসুমের দল গঠন করছে লাল-হলুদ।