এবার আর বড় চুক্তির পথে হাঁটতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। গত বছর দিমিত্রিয়স ডিয়ামানটাকোসের (Dimitrios Diamantakos) সঙ্গে লম্বা চুক্তি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। একাধিক বছরের চুক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছিল সল ক্রেসপো (Saul Crespo), হিজাজি মাহেরের (Hizaji Maher) সঙ্গে। মাদিহ তালালের সঙ্গেও একাধিক বছরের চুক্তি হয়েছিল। ফলে, এখন এই বিদেশিদের মধ্যে যাঁকেই ছাড়তে হবে, ইস্টবেঙ্গলকে দিতে হবে ক্ষতিপূরণ।
এবার তাই অতীত থেকে শিক্ষা নিতে চাইছে লাল-হলুদ। নতুন কোনও বিদেশির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে যেতে রাজি নয় ম্যানেজমেন্ট। বর্তমানে তিনজন স্ট্রাইকারের সঙ্গে কথা চলছে। এদের মধ্যে রয়েছেন একজন স্প্যানিশ এবং একজন তিউনিশিয়ার স্ট্রাইকার। এদের ক্ষেত্রেও সমস্যা সেই একই। প্রায় প্রত্যেকেই একাধিক বছরের চুক্তি চাইছেন।
সার্বিয়ার সেন্টার ব্যাক ইভান মিলাদিনোভিচের সঙ্গে নতুন করে কথা শুরু হয়েছে। তিনি চাইছেন দু'বছরের চুক্তি। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল তাঁকে চাইছে এক বছরের জন্য। ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে ফ্রাঙ্কি বুয়াম, ভিন্সি ব্যারেটোদের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, বুধবার হাওড়া স্টেডিয়াম থেকে সল্টলেক স্টেডিয়ামের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে সরে এল ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দলের অনুশীলন। এদিন দলের সঙ্গে যোগ দিলেন রিজার্ভ দলের কোচ বিনো জর্জ। কলকাতা লিগের সিনিয়র দলের ফুটবলারদের মধ্যে ডেভিড এবং বিষ্ণুকে খেলানোর সম্ভাবনা রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের।
ইস্টবেঙ্গল গত মরসুমে ডুরান্ড কাপ থেকে শুরু করে আইএসএল বা সুপার কাপ কোনও ক্ষেত্রেই সাফল্য পায়নি ইস্টবেঙ্গল। সে কারণেই এবার সাফল্যের সরণিতে ফিরতে মরিয়া অস্কার ব্রুজোর দল। মেহতাব সিং ও অভিষেক সিং তাদের প্রথম পছন্দ হলেও, তাদের পায়নি ইস্টবেঙ্গল। দু' জনেই সম্ভবত চলে যাচ্ছেন মোহনবাগান সুপার জায়েন্টে।
জয় গুপ্তাকে নিয়ে অনেকদিন ধরেই চর্চা চলছে। পুনে সিটি এফসি-র হয়ে কেরিয়ার শুরু করেছেন জয়। তারপর ভারতীয় ফুটবলার হলেও, বিদেশের মাটিতে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন জয়। পর্তুগাল ও স্পেনের ক্লাবে খেলেছেন এই লেফট ব্যাক। এবার লাল-হলুদ জার্সিতে তাঁকে দেখা যাবে কিনা সেটাই এখন দেখার।