কলকাতায় এসেছেন মাত্র কয়েকদিন হল। এর মধ্যেই লাল-হলুদ জনতার নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন হামিদ আহদাদ। প্রস্তুতি ম্যাচেই যে ঝলক দেখা গেল, সেটা ট্রেলার হলে বিপক্ষের সমস্যা হতে পারে। মঙ্গলবার ভবানীপুরের বিরুদ্ধে রাজারহাটের এনসিইতে অনুশীলন ম্যাচ ৪-২ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ল ইস্টবেঙ্গল। নেমেই গোল হামিদের। ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ অস্কার ব্রুজোর হাসি মুখটাই বলে দিচ্ছিল সব।
হতে পারে ভবানীপুর ধারে ও ভারে অনেকটাই পিছিয়ে, তবুও এই 'নতুন ইস্টবেঙ্গল' বর্তমানে প্রাক মরসুম প্রস্তুতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যা গতবছর হয়নি বললেই চলে। নতুন মরসুমে তাই আর কোনও ভুল করতে চান না অস্কার। তবে গোটা ম্যাচে ভবানীপুর ফুটবলারদের বারংবার কড়া ট্যাকেল নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেল। বুধবারের ম্যাচে প্রথম একাদশ গোলে ছিলেন প্রভসুখন গিল। ডিফেন্সে লালচুংনুঙ্গা, আনোয়ার, মার্তান্ড, রাকিপ। মাঝমাঠে রশিদ, সউল এবং মিগুয়েল। এছাড়া দুই উইংয়ে খেললেন বিপিন এবং নন্দকুমার। সামনে দিমানতাকোস।
প্রথমার্ধে একটি গোল করেন দিমি এবং বাকি দুটি গোল মিগুয়েলের। এছাড়াও ভবানীপুরের হয়ে প্রথমার্ধে দূরপাল্লার শটে অনবদ্য গোল করেন রিকি। দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই প্রথম টাচেই গোল পান হামিদ আহদাদ। অনুশীলন ম্যাচ দেখে যা মনে হল তাতে হামিদ যথেষ্ট স্কিলফুল ফুটবলার। পুরোপুরি ফিট হলে অনেক দলের ঘুম কাড়তে পারেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শেষে পরিবর্ত গোলরক্ষক আরিয়ান সারোহার ভুলে আরও একটি গোল হজম করে ইস্টবেঙ্গল। এছাড়াও দ্বিতীয়ার্ধে নেমেছিলেন বিদেশি ডিফেন্ডার কেভিন সিবিল্লে। তাঁর পুরোপুরি ফিট হতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। প্রস্তুতি ম্যাচে এদিন মিগুয়েলের দিকেই সকলের নজর ছিল। দুটি গোল করে মাঠ ছাড়ার সময় তৃপ্ত মিগুয়েল বলেন, 'কলকাতায় এসেই প্রস্তুতি ম্যাচে দুটো গোল করে ভাল লাগছে। তবে আমাকে আরও ফিট হতে হবে। আমি সেদিকেই এগোচ্ছি।'
অন্যদিকে অস্কার বলে গেলেন, 'দলের প্রথম ৬০ মিনিটের খেলায় আমি খুশি। এই সময়টায় আমি দলের প্রধান ফুটবলারদের খেলিয়েছিলাম। এবারে আমাদের হাতে অনেক অপশন। মিগুয়েল সত্যিই ভাল। দুটো গোল তারই প্রমাণ। তবে ওকে সময় দিতে হবে।'