ইস্টবেঙ্গলসুপার কাপের সেমিফাইনালে পঞ্জাব এফসিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতার ফাইনালে জায়গা পাকা করেছে ইস্টবেঙ্গল। শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছেন প্রত্যেকটি লাল-হলুদের ফুটবলাররা। এছাড়া এই ম্যাচে তিনজন ভিন্ন গোলদাতাও রয়েছেন ইস্টবেঙ্গল দলে। যা স্বাভাবিকভাবেই যে কোনও দলের কাছে বাড়তি পাওনা।
লাল কার্ড নিয়ে অস্কারের পাশে বিনো
এদিনের ম্যাচের শেষে মাঠ ছাড়ার সময় সেই কথাই জানিয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গলের ভারতীয় সহকারী কোচ বিনো জর্জ। তিনি বলেন, 'এটা খুবই আনন্দের। এরা থেকে এটাই বোঝা যায় যে আমাদের দলে যে কেউ গোল করার ক্ষমতা রাখে। এটা বাকি ফুটবলারদেরও উজ্জীবিত করবে'। প্রথমার্ধের শেষে রেফারির নিভায়ে অখুশি হয়ে মেজাজ হারিয়েছিলেন অস্কার। যেই কারণে লাল কার্ডও দেখতে হয়েছে তাঁকে। সেই বিষয়ে বিনো বলেন, রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের বিপরীতে গেছে। সেই কারণে অস্কারের মাথা গরম করে ফেলেছিলেন। এটা তাঁর দোষ নয়। পৃথিবীর যে কোনও কোচ সেটাই করে'।
এগিয়ে আমরাই, জানালেন গোয়া কোচ
অস্কারের না থাকা কিছুটা হলেও সুবিধা করে দেবে বলে মনে করছেন এফসি গোয়া কোচ মানেলো মার্কেজ। মুম্বই ম্যাচের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, 'সেমিফাইনালে প্রথমার্ধে তাঁর দল ভাল খেললেও, দ্বিতীয়ার্ধে তাঁরা একেবারেই খেলতে পারেননি।' ইস্টবেঙ্গল দলের বিরুদ্ধে ফাইনাল কঠিন হলেও, একটু এগিয়ে রয়েছে গোয়া। মানেলো বলেন, 'সব দলই খুব কঠিন। ইস্টবেঙ্গল দলে দারুণ কিছু ফুটবলার আছে। কোচও খুব ভাল। কিন্তু অস্কারের লাল কার্ড আছে। আমরা খুব ভাল বন্ধু। চেষ্টা করব আবার ফাইনাল জিততে। ঘরের মাঠে খেলা। সেটা আমাদের সুবিধা।'
নিজের তৃতীয় সুপার কাপ জেতার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক সল ক্রেসপো। ম্যাচের শেষে তিনি বললেন, 'এটা আমার সুপার কাপের তৃতীয় ফাইনাল। এর আগে দুবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তাই তৃতীয়বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে মুখিয়ে রয়েছি'। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দাপুট ফুটবল খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। সেই প্রসঙ্গে সল বলেন, 'পঞ্জাব দলটাও খুবই শক্তিশালী। তবে আমরাও নিজেদের সেভাবেই তৈরি করেছি। এর আগে আমরা মোহনবাগান এবং চেন্নাইয়েনের মত মনের বিরুদ্ধে ভাল ফুটবল খেলেছিলাম। ফলে আমর সেভাবেই তৈরি হয়েছি এবং ফাইনালে প্রতিপক্ষ যেই হোক, আমরা তৈরি।'