jeakson singh, manoj mohammedক্লেইটন (Cleiton Silva) ম্যাজিকে জয়ের হ্যাটট্রিক পেয়ে যাচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। তবে সেটা হতে দিলেন না ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার মনোজ মহম্মদ। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের শেষলগ্নে গোল করে হায়দরাবাদকে (Hyderabad FC) সমতা এনে দেন মনোজ। ম্যাচের ফল ১-১। শুরু থেকেই দারুণ লড়াই তুলে ধরেছিল হায়দরাবাদ। সুযোগও এসেছিল তাদের সামনে। তবে গোল পায়নি তারা।
মিডফিল্ডে সৌভিক চক্রবর্তী ও জিকসন সিংরা সেভাবে কার্যকরী ভূমিকা নিতে না পারায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। তবে ৬৪ মিনিটে গোল করেন সেই জিকসনই। ক্লেইটন সিলভার দারুণ ফ্রিকিক পোস্টে লেগে ফিরে এলে তা হেড করে গোলে ঢুকিয়ে দেন জিকসন। ১ গোলে এগিয়ে গেলেও, ব্যবধান বাড়ানোর তাগিদ সেভাবে দেখা যায়নি লাল-হলুদ ফুটবলাদের মধ্যে।
সে কারণেই দুই পয়েন্ট মাঠে ফেলে আসতে হল অস্কার ব্রুজোর ছেলেদের। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ৯০ মিনিটে গোল পেয়ে যায় হায়দরাবাদ। কোরেয়ার পাস থেকে শটে গোল পান ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন এই ফুটবলার। প্রথমার্ধের শেষ ১৫ মিনিট আর ম্যাচ শেষের ১৫ মিনিট দল যে ভাল খেলতে পাররেনি তা মেনে নিয়েছেন অস্কার ব্রুজো।
এই ম্যাচেও রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। অয়ালেক্স সাজির হাতে বল লাগলেও রেফারি যেমন ফ্রি কিক দেননি, তেমনভাবেই গোলকিপার আর্শদীপ পা উচিয়ে যেভাবে চড়াও হলেন ক্লেইটন সিলভার দিকে তা লাল কার্ড তো বটেই, পেনাল্টিও। রেফারি তা দেখতে পাননি। ফলে এক্ষেত্রে বঞ্চিত হয় লাল-হলুদ। ম্যাচের পর যদিও এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি অস্কার। তাঁর চিন্তা ক্লিনশিট রাখতে না পারা নিয়ে।
এই ড্রর ফলে ১১ নম্বরেই থাকল লাল-হলুদ। এখন বাকি ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট করে না পেলে প্লে অফের আশাও শেষ হয়ে যেতে পারে। আর সেটাই ভাবাচ্ছে লাল-হলুদ সমর্থকদের। যদিও আশার কথা। দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন সল ক্রেসপো। তার সঙ্গেই চলছে নতুন বিদেশিকে সই করিয়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াও।