
হায়দরাবাদ এফসি-র (Hyderabad FC) বিরুদ্ধে ম্যাচে নিশ্চিত পেনাল্টির থেকে বঞ্চিত হয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। এমনটা মেনে নেওয়ার পাশাপাশি বারবার রেফারির ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েও সরব মোহনবাগানের সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ। তবে শুধু তিনি নন, আর্শদীপ সিং-এড় ট্যাকেলের সমালোচনা করেছেন মোহনবাগানের প্রাক্তন গোলকিপার শিল্টন পালও।
কী ঘটেছিল?
প্রথমার্ধের মাঝামাঝি একটি পেনাল্টির আবেদন করেছিল ইস্টবেঙ্গল। বল লেগেছিল সাজির হাতে। রেফারি কর্ণপাত করেননি ইস্টবেঙ্গলের আবেদনে। এর পর ক্লেইটন একটি ভাসানো বল পেয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু হায়দরাবাদ গোলকিপার আরশদীপ সিং লাফিয়ে উঠে বল ক্লিয়ার করতে গিয়েছিলেন। তাঁর পা সোজা গিয়ে লাগে ক্লেটনের বুকে। ব্রাজিলীয় ফুটবলার মাটিতে পড়ে কাতরাতে থাকেন। রেফারি পেনাল্টি তো দেনইনি, উল্টে ফাউল দেন হায়দরাবাদের পক্ষে। ক্লেটনের আঘাত নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হলেও তা সঙ্গে সঙ্গেই দূর হয়ে যায়। প্রাথমিক শুশ্রূষার পর সুস্থ হয়ে যান তিনি।
অনেকেই বলছেন আরও একবার জুনিয়রের মতো ঘটনা ঘটতে পারত হায়দরাবাদে। কুণাল ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, 'রিপ্লে এবং স্লো মোশন বারবার দেখলাম। ভাগ্য ভালো, বেঁচে গেছে ইস্টবেঙ্গলের ক্লেটন। রেফারির উচিত ছিল হায়দরাবাদের গোলকিপার কে লাল কার্ড দেখিয়ে বার করে দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের অনুকূলে পেনাল্টি দেওয়া। এনিয়ে কোনো কথা হবে না।' পাশাপাশি তিনি রেফারির মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন ফেডারেশনেরও। তিনি লেখেন, ' রেফারিদের মান নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। সেটা কর্তৃপক্ষ দেখুক।'
তবে ইস্টবেঙ্গলকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি কুণাল। তিনি লেখেন, 'লিগ টেবিলের শেষদিকে ইস্টবেঙ্গলকে দেখতে ভারি ভালো লাগছে, সেটা আলাদা কথা। তাদের পরশ্রীকাতর সমর্থকদের ঈর্ষা ও হতাশাজনিত বুকফাটা হাহুতাশটাও উপভোগ্য। কিন্তু হায়দরাবাদ ম্যাচের ঘটনাটার নিন্দা সব ফুটবলপ্রেমীরই করা দরকার। আমি মোহনবাগান সমর্থক হিসেবেও বলছি, হায়দরাবাদ গোলকিপারকে লাল কার্ড দেখানো উচিত অবশ্যই ছিল।'
শিল্টন পাল নিজেও একজন গোলকিপার। ফেসবুক পোস্টে হায়দরাবাদ গোলকিপারের ট্যাকেলের সমালোচনা করে তিনি লেখেন, 'আমি অবাক। হায়দরাবাদের গোলকিপার যে ভাবে ট্যাকেল করেছে তাতে সরাসরি লাল কার্ড দেখানো উচিত। গোলকিপার হিসেবে আমাদের উদাহরণ সেট করতে হয়। এই ধরণের ট্যাকেল মেনে নেওয়া যায় না।'