প্রথমার্ধের খেলা ঘুরে গেল দ্বিতীয়ার্ধে। তবে মুহূর্তের ভুলে ইস্টবেঙ্গলকে হারতে হল, মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে। ম্যাচের ফল ২-৩। প্রথমার্ধে খেলায় খুঁজেই পাওয়া যায়নি ইস্টবেঙ্গলকে। সেই সময়ই ২ গোলে এগিয়ে যায় মুম্বই। সেই সময় মনেই হচ্ছিল না এটা ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ। ডিফেন্সে বল এলেই ত্রাহি ত্রাহি রব। তবে সেই খেলাই বদলে যায় পরের অর্ধে। দুই গোল শোধ করে দিলেও, শেষ মুহূর্তে আনোয়ার ও হজাজির ভুলে গোল করে যান ক্যারোলিস। আর এতেই স্বপ্নভঙ্গ ইস্টবেঙ্গলের।
শুরুতে ৩৯ মিনিটে গোল করেন লালজিনজুয়ালা ছাংতে। আজ মাঝখান থেকে আক্রমণে উঠে আসছিলেন তিনি। আর তাতেই গোল আসে। এ ক্ষেত্রেও ডিফেন্সের ভুল অস্বীকার করা যায় না। লালচুংনুঙ্গা, ছাংতেকে ধরতেই পারেননি। দারুণ প্লেসিং-এ গোল করে যান মুম্বই কাপ্টেন। বারবার ডিফেন্স আর গোলকিপার প্রভসুকান গিলের মাঝে জায়গাটা ব্যবহার করতে চাইছিলেন পিটার ক্র্যাকলে। প্রথম গোল তো বটেই, দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও একই স্ট্র্যাটেজি ধরা পড়ে।
প্রথম গোলের পাঁচ মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোল পায় মুম্বই। ক্যারোলিসের শট প্রথম চেষ্টায় গিল বাঁচালেও, দ্বিতীয় শট বাঁচাতে পারেননি। এক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝিতে বল পান ক্যারোলিস। হেক্টর ইউস্তে ও গিলের ভুল বোঝাবুঝিতে গোল হয়।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে, দুই বদল বদলে দেয় লাল-হলুদকে। নিশু কুমার ও নাওরেম মহেশ সিং আসতে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ে। ৬৬ মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে যায়, ইস্টবেঙ্গল। এ গোলের ক্ষেত্রে পিভি বিষ্ণু অনেকটাই কৃতিত্ব দাবি করতেই পারেন। তাঁর শটই সাহিল পানোয়ারের পায়ে গেলে ঢুকে যায় গোলে। পরিবর্ত হিসেবে নামা ডেভিড সমতা ফেরান ৮৩ মিনিটে। হেক্টর ইউস্তের হেড থেকে বল পেয়ে হাফ টার্নে বল দ্বিতীয় পোস্টে প্লেস করেন ডেভিড।
তবে এই আনন্দ বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। নাথান রড্রিগেজের থ্রু পাস ক্লিয়ার করতে পারেননি হিজাজি। বলের সঙ্গে কানেক্টই করতে পারেননি লাল-হলুদ ডিফেন্ডার। ফাঁকায় বল পেয়ে যান ক্যারোলিস। গিলকে পরাস্ত করে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি গ্রিক স্ট্রাইকার।