টিমটা যেন হাসপাতাল। একের পর এক ফুটবলারের চোট। তারপরেও মঙ্গলবার ঘরের মাঠে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে জয়ের জন্যই ঝাঁপাতে চায় ইস্টবেঙ্গল। কারণ এ মুহূর্তে এ ছাড়া আর কিছুই করার নেই লাল-হলুদের। আর সেই কারণেই হেক্টর ইউস্তের হাঁটুতে 'গ্রেড ১' চোট থাকলেও তাঁকে সুস্থ করে মাঠে নামানোর চেষ্টা চলছে। রবিবারের অনুশীলনে অন্তত সেই ইঙ্গিতই মিলেছে। পাশাপাশি ওড়িশা এফসি ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছেন জিকসন সিং। তাই তাঁর পরিবর্তে সেই জায়গায় আনোয়ার আলিকে তৈরি করছেন লাল-হলুদ হেড কোচ অস্কার ব্রুজো। ফলে একেবারে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে আনোয়ারকে।
প্রসঙ্গত একের পর এক চোট আঘাতে জর্জরিত লাল-হলুদ ব্রিগেড। মাঝমাঠের প্রধান অস্ত্র মাদিহ তালাল এসিএলের চোট নিয়ে গোটা মরশুমের জন্য ছিটকে গিয়েছেন। অন্যদিকে হ্যামস্ট্রিংয়ে গুরুতর চোটের কারণে প্রায় দু'মাস মাঠের বাইরে থাকবেন সল ক্রেসপো। ডিমানতাকোস এদিন অনুশীলনে এলেও সাইড লাইনের ধারে রিহ্যাব করেন। পঞ্জাব ম্যাচে তাঁর প্রথম একাদশে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই। অনুশীলন শেষে মাঠ ছাড়ার সময় হেক্টর বলেন, 'আমি ফিট। দেখা যাক কী হয়।'
রবিবারের অনুশীলন দেখে যা মনে হল ডিফেন্স লাইন হতে পারে ঠিক এইরকম। দুই সাইড ব্যাক রাকিপ এবং লালচুংনুঙ্গা, মাঝে হিজাজি ও হেক্টর। একটু উপরে খেলতে পারেন সৌভিক চক্রবর্তী এবং আনোয়ার আলি। এই ম্যাচে একেবারে নতুন পজিশনে দেখা যাবে আনোয়ারকে। ডিফেন্স এবং আক্রমণভাগের সংযোগ রক্ষা করবেন তিনি। দুই উইংয়ে খেলবেন বিষ্ণু এবং নন্দা কুমার। মাঝে মহেশ। সামনে ফরোয়ার্ডে একা ক্লেইটন। যদিও উপরের এই চার ফুটবলারকে বিভিন্ন সময় জায়গা পরিবর্তন করিয়ে খেলাচ্ছেন অস্কার।
টানা দুই ম্যাচ জেতার পর, ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথম ছয় ম্যাচ হারের পর যা পরিস্থিতি তাতে বাকি সব ম্যাচ জিততে পারলেই প্লে অফে যাওয়ার কিছুটা হলেও সুযোগ থাকবে লাল-হলুদের সামনে।