প্রতিপক্ষ চিন, ইরান ও উজবেকিস্তানের দল। এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কঠিন প্রতিপক্ষদের মুখে ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। বৃহস্পতিবার ছিল এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র। সেখানেই গ্রুপ বিতে জায়গা করে নিলেন সঙ্গীতা বাসফোররা। উল্ল্যেখযোগ্য ব্যাপার হল, সেই গ্রুপে এবার রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল চিনের উহান জিয়াংদা এফসি।
আইডাব্লিউএল জিতে ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা পৌঁছে গিয়েছিল এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাছাই পর্বে। সেখান থেকে একের পর এক ম্যাচে ভাল পারফর্ম করে মূল পর্বে জায়গা করে নেয় লাল-হলুদ। যা ছিল ইতিহাস। ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি কঠিন এই গ্রুপে রয়েছে ইরানের বাম খাতুন, উজবেকিস্তানের নাসাফ ও চিনের উহান জিয়াংদা এফসি। কঠিন লড়াই হলেও হাল ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গল। দলের অনেকেই এখন রাজ্য দলের হয়ে খেলছেন। বিদেশিরাও সময় মতো চলে আসবেন।
ছেলেদের পর লাল-হলুদের মহিলা দলও মহাদেশীয় প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ স্তরে মূল পর্বে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে। ভারতীয় দল হিসেবে ইতিহাস গড়ল ইস্টবেঙ্গল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসাবে মূল পর্বে যায় দল। ১৬ দলের লড়াইয়ে তৃতীয় পটে ছিল লাল-হলুদ। ইস্টবেঙ্গল কোচ অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজ বলেন, 'প্রথমেই ক্লাবকে ধন্যবাদ। কারণ আমি জিততে ভালোবাসি। সেখানে ক্লাব একজন তরুণ কোচের উপর ভরসা রেখেছে, ভালো ভালো প্লেয়ার এনে দিয়েছে। প্রায় অবনমন হয়ে যাওয়া একটা দলের পুনর্গঠন সহজ ছিল না। তবে সবাই একসঙ্গে চেষ্টা করেছি। প্রথমে আইডব্লুএল জয় এবং এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূল পর্বে পৌঁছে যাওয়াটা তারই ফলাফল। কাজ এখনও শেষ হয়নি। এবার মূল পর্বে ভালো করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।'
এর আগে ১৯৮৫-'৮৬ মরসুমে এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে খেলেছে লাল-হলুদের পুরুষ দল। অ্যান্থনির আরও বলেন, 'দলের অনেকেই প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলল। ওদের জন্য এটা ভালো অভিজ্ঞতা। তাছাড়া দলে কয়েকজন বাঙালি ফুটবলার আছে। তারা ভালো খেলেছে। সেটা আমার কাছে বাড়তি আনন্দের বিষয়।' মহিলা দলের সাফল্যে খুশির হাওয়া ক্লাবেও। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, 'আমরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছি। ফলে এই ফলাফল আনন্দের। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।'