East Bengal Transfer News: প্রায় চূড়ান্ত জয়, নতুন সমস্যায় জড়িয়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গল

জয় গুপ্তাকে চুক্তিপত্র পাঠিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল। শেষ মুহূর্তে বড়সড় অঘটন না ঘটলে, জয় গুপ্তা লাল-হলুদের পথেই। এফসি গোয়াকে ট্রান্সফার ফি দিয়ে এই প্রতিশ্রুতিমান লেফট ব্যাককে দলে নেওয়ার পথে অস্কার ব্রুজোর দল। লেফটব্যাক সমস্যা মেটার পর, একজন অভিজ্ঞ রাইটব্যাকের সন্ধান করছে ইস্টবেঙ্গল। 

সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডারের সিভি দেখার পর একজন স্প্যানিশ ডিফেন্ডারকে মনে ধরেছে ম্যানেজমেন্টের। তাঁকেও চুক্তিপত্র পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা বাড়াচ্ছেন সল ক্রেসপো। সরকারিভাবে ঘোষণা না হলেও, দুই বিদেশি মিডফিল্ডার মিগুয়েল ফিগুয়েরা এবং মহম্মদ রাশিদ চূড়ান্ত। মাদিহ তালাল এবং হিজাজি মাহেরের সঙ্গে চুক্তি থাকলেও, তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয় ইস্টবেঙ্গল আশাবাদী। তাঁরাও অনেকটাই রাজি। কিন্তু সলকে ছাড়া যাচ্ছে না। তিনিই রাজি হচ্ছেন না। 

একান্ত ছাড়া না গেলে, সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে তিনজন বিদেশি ফুটবলার হয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গলের। যা ধাক্কা দেবে পরিকল্পনায়। অন্যদিকে, সূত্রের খবর ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে সব ফুটবলারদের কলকাতায় আসার কথা বলা হয়েছে। ২০ জুলাই অনুশীলন শুরু হতে পারে। ডুরান্ড কাপে রিজার্ভ দলে ফুটবলারদের সঙ্গে বেশ কিছু সিনিয়র ফুটবলারকে খেলানো হতে পারে।

 আসন্ন মরসুমে দিমির পাশে একজন ভাল ফরওয়ার্ডকে চাইছেন ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ অস্কার ব্রুজো (Oscar Bruzon)। দীর্ঘদিন ধরে সেই খোঁজও অব্যাহত রয়েছে। এবারে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে বসনিয়া, স্পেন এবং তিউনিশিয়া এই তিন দেশের তিনজন ফরোয়ার্ডকে বাছাই করা হয়েছে। এদের মধ্যেই সম্ভবত একজনকে কয়েকদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করে ফেলা হবে।

বিদেশি ডিফেন্ডার ইভান মিলাদিনোভিচের (Ivan Miladinovic) সঙ্গে মাঝে আলোচনা বন্ধ হলেও, ফের একবার তাঁকে নতুন মরসুমে আনার ব্যাপারে কথা চালাচ্ছে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। তবে এখানেও বেশ কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ইভান দুই বছরের চুক্তি চাইলেও, তাঁকে এক মরসুমের জন্যই আপাতত সই করাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। প্রসঙ্গত গত বছর সল ক্রেসপো, মাদিহ তালাল এবং হিজাজি মাহেরের সঙ্গে দুই মরসুম চুক্তি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এই বছর তাঁদের মধ্যে অন্তত দুজন ফুটবলারকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনেক টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে লাল-হলুদকে। তাই নতুন বিদেশি সই করানোর ক্ষেত্রে আপাতত এক বছরের চুক্তি চাইছেন অস্কার। ইভানের সই তাই এখনও ঝুলে রয়েছে।