শনিবার আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। ডার্বি মানেই আলাদা উত্তেজনা। আর সে কারণেই এবার সতর্ক আইএফএ। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বারবার নানা অভিযোগ সামনে আসে। আর সেই সমস্যার মেটাতে, উদ্যোগ নিল তারা। এ রাজ্যের রেফারি নয়, ফাইনাল ম্যাচ খেলাবেন ভিন রাজ্যের রেফারি।
আগে থেকেই আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত জানিয়েছিলেন, যদি ফাইনালে দু’প্রধান ওঠে তাহলে ফাইনাল যুবভারতীতে হবে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলি দুপুর ২.৩০ থেকে শুরু হচ্ছে। শিল্ড ফাইনাল আকর্ষণীয় করতে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। দুই প্রধান-সহ এবার শিল্ডে অংশ নিয়েছে মোট ছয়টি দল। শেষ মুহূর্তে মহমেডান স্পোর্টিং খেলতে চায়নি শিল্ড। ছয়টি দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে।
দুই গ্রুপের শীর্ষে থাকা দল ফাইনাল খেলবে। শিল্ড ফাইনালে কোন দল খেলবে এখনও চূড়ান্ত না হলেও ফাইনালের টিকিট অনলাইনে বাজারে ছেড়ে দিয়েছে আইএফএ। রাজ্য ফুটবল সংস্থার আশা, ফাইনাল ডার্বি হলে স্টেডিয়াম ভর্তি হয়ে যাবে। আর শুধু তাই নয়, এই ম্যাচ থেকে টিকিটের যা টাকা পাওয়া যাবে, সেটা দেওয়া হবে উত্তরবঙ্গের ত্রান তহবিলে।
দুই বড় দলই পূর্ণ শক্তির স্কোয়াড নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। গ্রুপে তিন দল থাকায়, দলগুলিকে দুটো করে ম্যাচ খেলতে হয়েছে। দুই দলই দুটো করে ম্যাচ অনায়াসে জিতে ফাইনালে জায়গা পাকা করে ফেলেছে। মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট প্রথম ম্যাচে গোকুলাম কেরালা এফসিকে হারিয়েছে। পরের ম্যাচে ইউনাইটেড স্পোর্টসকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। অন্যদিকে শুরুতে শ্রীনিধি ডেকানকে হারানোর পর নামধারী এফসিকে হারিয়ে আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল।
এ মরসুমে ইতিমধ্যেই দুইবার এই দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দল একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। একবার কলকাতা লিগে, আর একবার ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। দুইবারই সবুজ-মেরুনকে হারিয়ে দিয়েছে লাল-হলুদ ক্লাব। তাই এবার হোসে মলিনার দলের সামনে বদলা নেওয়ার দারুণ সুযোগ। সেই সুযোগ নিশ্চিতভাবে হাতছাড়া করতে চাইবে না মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট।