মরসুমের শুরুতে কলকাতা লিগ আর ডুরান্ড কাপে ডার্বি জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপেও মোহনবাগানের সঙ্গে এক গ্রুপে রয়েছে তারা। আগামী ১৮ অক্টোবর আরও একটা ডার্বি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে। এখন থেকেই সেই ম্যাচ নিয়ে ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো।
শিল্ডের প্রথম ম্যাচ জিতে তিনি বলেন, 'ফাইনালে মোহনবাগানের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা হলে ভালোই হয়। আগের ম্যাচে ওদের বিরুদ্ধে একটু রক্ষণাত্মক ভাবনা নিয়ে খেলেছি। এবার মুখোমুখি হলে অন্য মেজাজে খেলব।' বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় চলে এসেছেন লাল-হলুদের জাপানি ফরোয়ার্ড হিরোশি ইবুসুকি। শনিবার প্র্যাকটিসে নামবেন তিনি। ফলে আরও শক্তি বাড়ছে লাল-হলুদের।
বুধবার আইএফএ শিল্ডে শ্রীনিধির বিরুদ্ধে জিতলেও একাধিক গোল মিস হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। অস্কার জানিয়েছিলেন, ইবুসুকি চলে এসে এই গোল মিসের সংখ্যা অনেকটাই কমবে। তিনি আসার আগেই দলের কোচ অস্কার ব্রুজোর এই আস্থাই বলে দিচ্ছে আগামী দিনে লাল-হলুদের আক্রমণভাগের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করছে এই নবাগত জাপানির সাফল্যের ওপর।
শুক্রবার পুরো দলকে ছুটি দিয়েছিলেন অস্কার। নয়তো এদিনই দলের সঙ্গে নেমে যেতে পারতেন ইবুসুকি। শ্রীনিধি ম্যাচের পর শিল্ডে ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ ১৪ অক্টোবর। ফলে হাতে অনেকটা সময় রয়েছে। সেই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ নামধারী এফসি। এই ম্যাচ জিততে পারলেই ফাইনালের রাস্তা পাকা করে ফেলবে ইস্টবেঙ্গল। মনে করা হচ্ছে, এবার ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে। কারণ, প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকবে মোহনবাগানও।
গোকুলাম কেরালা এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে শুধু ৫ গোল করা নয়, অনেকটাই ছন্দে দেখা গিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে। মাঠের বাইরের চাপ বা বিক্ষোভ প্রভাব ফেলেনি ফুটবলারদের মানসিকতায়। আর সেটাই স্বস্তি দেবে হোসে মলিনাকে।
অন্যদিকে, বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের পাশে দাঁড়াল লাল-হলুদ। এদিন ক্লাবের তরফে শিলিগুড়ির পোড়াঝাড় এলাকায় দুর্যোগে আক্রান্ত বাসিন্দাদের হাতে সাহায্য তুলে দেন সদস্য-সমর্থকরা। পাশাপাশি এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে জলপাইগুড়িতেও।