ভারত-পাক (India vs Pakistan Tension) উত্তেজনার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আইএসএল (ISL) ক্লাবগুলোকেও। বিদেশি ফুটবলারদের নিয়ে এই সমস্যা বাড়ছে। ফলে অনেকক্ষেত্রেই যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভারতে খেলতেই আসতেই চাইছেন না। নতুন মরসুমের আগে তাই সমস্যা বাড়ছে। এমনিতেই ফেডারেশন (AIFF) নিজেদের ডামাডোলের জেরে টুর্নামেন্ট গুলো আয়োজন করতে পারবে কিনা তা নিয়েই সংসয় আছে। এর মধ্যেই এই সমস্যা।
এক ক্লাবকর্তা ইতিমধ্যেই এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, 'আমরা অসম্ভব চিন্তায় আছি। বহু বিদেশিই আগে কথা দিয়ে হঠাৎই পিছু হটতে আরম্ভ করেছে। ফলে আবার নতুন বিদেশির খোঁজ করতে হচ্ছে। না হলে আপাতত আপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই আমাদের হাতে। কারণ আপাতত যুদ্ধবিরতি হলেও পরিস্থিতি এখনও সহজ হয়নি বলেই বিদেশি ফুটবলাররা এখনই ভরসা করতে পারছে না। ফলে কথা দিতেও নারাজ তারা।' এই পরিস্থিতিতে যেসব ক্লাবের হাতে চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারের সংখ্যা বেশি, তারা এক্ষেত্রে কিছুটা নিশ্চিন্তে থাকলেও, যে সমস্ত দলকে বেশি বিদেশি নিতে হবে, তাদের সমস্যা আরও অনেকটা বেশি।
সমস্যায় বাংলার দুই প্রধান
এর ফলে সমস্যায় বাংলার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ও মোহনবাগান সুপার জায়েন্টও (Mohun Bagan Super Giant)। ঝামেলা বেড়েছে ইস্টবেঙ্গলের। কারণ তাঁরা প্রায় সমস্ত বিদেশিকেই বদল করে দল নতুন করে গড়তে চাইছে। সেক্ষেত্রে আপাতত ইভান মিলাদিনোভিচ ও মিগুয়েল ফিগুয়েরার সঙ্গে কথাবার্তা পাকা। শেষপর্যন্ত অবশ্য পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় সেদিকেই তাকিয়ে লাল-হলুদ ক্লাব।
সমস্যা বাড়ছে রবসনকে নিয়েও
আর অন্যদিকে অন্তত তিনজন বিদেশি নিতে হবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে। গ্রেগ স্টুয়ার্ট ও নুনো রেইজকে ছেড়ে দেওয়ায় দু'জন জায়গায় নতুন বিদেশি তো বটেই, বাড়তি আরও একজনকে নেওয়ার ভাবনা ছিল তাদের। কারণ এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুয়ে বিদেশি খেলানোর ব্যাপারে কোনও বিধিনিষেধ নেই। ফলে বাড়তি বিদেশি রাখার ভাবনা ছিল তাদের। কিন্তু এই মুহূর্তে রবসন রবিনহোও নাকি আসার ব্যাপারে গড়িমসি করতে শুরু করেছেন। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আপাতত নুনো ও গ্রেগকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছে মোহনবাগান।