বৃহস্পতিবার আইএসএলের আট দল ফেডারেশন সভাপতির সঙ্গে আলোচনায় বসেন। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকের পরে কল্যাণ চৌবে জানান, 'শীর্ষ স্তরের একটি লিগ হবেই'। এখনও আইএসএলের ভবিষ্যৎ কী হবে তা জানা যায়নি।
যদিও ফেডারেশন এই মুহূর্তে আইএসএল নিয়ে কিছু বলার জায়গায় নেই। ফেডারেশন যেহেতু ক্লাবগুলোর পেরেন্ট বডি, তাই সেই পেরেন্ট বড়ির কাছেই ক্লাবগুলে জানতে চেইয়েছে, যে ফুটবলারদের তারা সই করাচ্ছে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? অভিজ্ঞ মহলের ধারণা, ক্লাবগুলোও জানে ফেডারেশনের কোনও ক্ষমতাই নেই আইএসএল চালানোর বিষয়ে। শুধুমাত্র কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বাধীন ফেডারেশনের উপর চাপ তৈরি করার জন্য এই বৈঠকে বসেন ক্লাব কর্তারা।
সাংবাদিক সম্মেলনে কল্যাণ বলেন, 'আমরা আশা করছি এই মরসুমে আইএসএল হবে, যদিও এটি কিছুটা দেরিতে হতে পারে। তবে আমরা কিছু পরিবর্তন করতে পারি। হয়তো ফর্ম্যাটে বা অন্যান্য বিষয়ে। তবে এটা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়গুলি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ডিসেম্বর পর্যন্ত এফএসডিএলের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে, তাই এর মধ্যে কিছু করা সম্ভব নয়। এই বৈঠকেই ক্লাবগুলোর সামনে নতুন একটি লিগের প্রস্তাব রাখে এআইএফএফ। বলা হবে, এই লিগ আয়োজনের জন্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকার মতো করে ক্লাবগুলোকে দিতে হবে। বাকি টাকা ফেডারেশন জোগাড় করবে। যদি আইএসএল না করে এফএসডিএল তা হলে এই নতুন লিগ করবে বলে জানান কল্যাণ চৌবে।
তবে প্রশ্ন হল, ইতিমধ্যেই কয়েকটি ক্লাব আইএসএলে পাঁচশো থেকে ছয়শো কোটি টাকা লগ্নি করে ফেলেছে। সেখানে নতুন ছোট্ট এই প্রতিযোগিতায় তাঁরা কী আবার টাকা ঢালবেন? আসলে ডিসেম্বরের মধ্যেই ফেডারেশনের নির্বাচন হয়ে যাবে। তার আগে এমন নতুন লিগের প্রস্তাব দিয়ে ফেডারেশন সভাপতি নিজেদের দিকে সমর্থন টানার কাজ করছেন।
সেই কারণেই সবাই এখন তাকিয়ে স্পোর্টস বিলের দিকে। এই স্পোর্টস বিল প্রথমে লোকসভায় পাস হবে। তার পর রাজসভায় পাস হবে। এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে লোকসভার বাদল অধিবেশনের ২১ আগস্টের মধ্যেই। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই সম্ভবত সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশ হওয়ার কথা। যার উপর নির্ভর করবে ফেডারেশনের সংবিধান এবং আসন্ন নির্বচন। সেদিকেই ভারতীয় ফুটবল মহল তাকিয়ে। তবে ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ যে এখনও তলানিতে তা বলাই যায়।