ISL 2026: ISL কার্যত হচ্ছেই, তবে এই ৫ প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা

অবশেষে কি জট কাটছে আইএসএলের? নতুন কোনও সমস্যা তৈরি না হলে আগামী দিন তিনেকের মধ্যে আইএসএলের চিত্র পরিষ্কার হতে চলেছে। তবে বেশ কিছু ব্যাপারে এখনও ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে। 

Advertisement
ISL কার্যত হচ্ছেই, তবে এই ৫ প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরাআইএসএল ট্রফি

অবশেষে কি জট কাটছে আইএসএলের? নতুন কোনও সমস্যা তৈরি না হলে আগামী দিন তিনেকের মধ্যে আইএসএলের চিত্র পরিষ্কার হতে চলেছে। তবে বেশ কিছু ব্যাপারে এখনও ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে। 

কোন কোন ব্যাপারে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে?
এখনও অপারেশনাল এক্সপেন্স, স্যালারি ক্যাপ, লং টার্ম প্রোটেকশন অফ ইনভেস্টমেন্টের মত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হওয়া বাকি। চলতি আইএসএলের খরচ নির্ভর করছে ক্লাবগুলি কোন ফরম্যাটে আইএসএল খেলতে চাইছে, তার ওপর। শুধু বাংলা এবং গোয়ায় আইএসএল হবে, নাকি সিঙ্গেল লেগে হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে হবে তার উপর নির্ভর করছে খরচ। এ বছর কমার্শিয়াল পার্টনার না পেলে শুধুমাত্র ক্লাবের পার্টিসিপেশন ফি-র উপর ভিত্তি করেই আইএসএল হবে। ২৮ ডিসেম্বর আরও এক দফা অনলাইনে বৈঠক হবে। সেদিন শর্টটাইম লিগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। 

ফেডারেশন, ক্লাব জোট এবং কমার্শিয়াল পার্টনারের এই হাইব্রিড মডেলে আপাতত খুশি ক্লাবগুলি। ২৯ ডিসেম্বর সব বিষয় নিয়ে সামনাসামনি বৈঠক সব পক্ষের। ফেডারেশন আশাবাদী, সেখানেই ঘোষণা করে দেওয়া যাবে কবে শুরু হচ্ছে এবারের আইএসএল। তবে ক্লাবগুলো দাবি জানাবে, এবারের আইএসএলে বল গড়ানোর আগেই যাতে নতুন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা-প্রস্তাবের সব শর্তে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি জোগাড় করে ফেডারেশন এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক।

শুক্রবার আইএসএল ক্লাবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক ছিল ফেডারেশনের তৈরি করা আইএসএলের বিশেষ কমিটির। এই বৈঠকে একদিকে যেমন এক বছরের জন্য শর্ট টার্ম প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, তেমনই ক্লাবগুলির কাছে পেশ করার কথা ছিল দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার। এদিন বিশেষ কমিটির তরফে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে আইএসএল আয়োজনের যে খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, তাতে অনেকটাই সন্তুষ্ট ক্লাবগুলি।

প্রস্তাবে কী রয়েছে?
প্রস্তাব অনুযায়ী, সংবিধান মেনে এই লিগ আয়োজন করবে ফেডারেশন। ২০ বছরের চুক্তিতে সই করবে সব পক্ষ। লিগ আয়োজনের জন্য থাকবে একটি সেন্ট্রান্স অপারেশনাল বাজেট। লিগের সব রেভিনিউ শেয়ার হোল্ডারদের থেকে অর্থ নিয়েই তৈরি হবে বাজেট। যাকে বলা হবে লিগ মেম্বারশিপ কন্ট্রিবিউশন। এই লিগের পিরামিডের বিভিন্ন অংশে রেলিগেশন এবং প্রমোশন থাকবে। আইএসএলে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ক্লাব প্রতি মরসুমের শুরুতেই ১ কোটি টাকা 'পার্টিসিপেশন ফি' ফেডারেশনের হাতে তুলে দেবে। পরবর্তীতে লিগের আয় থেকে এই অর্থ ফেরত পাবে ক্লাবগুলি। লিগের বাজেট আনুমানিক ৭০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। মোট বাজেটের ৫০ শতাংশ দেবে ক্লাব জোট। কমার্শিয়ান্স পার্টনার দেবে ৩০ শতাংশ। ফেডারেশন দেবে ১০ শতাংশ। বাকি ১০ শতাংশ রাখা থাকছে কোনও ক্লাব যদি অতিরিক্ত শেয়ার কিনতে চায় তাদের জন্য। যে শতাংশের হিসেবে অর্থ দেওয়া হচ্ছে বাজেটের জন্য, সেই শতাংশেই ভাগ হবে সেন্ট্রাল রেভিনিউ। প্রোডাকশন এন্ড ট্রান্সমিশন কষ্ট, ডিজিটাল এন্ড মার্কেটিং, প্রাইস মানি, ইন্ডিভিজুয়াল প্রাইজ মানি, কমার্শিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ এক্সপেন্সের খরচ আসবে ক্লাব এবং কমার্শিয়াল পার্টনারের থেকে আসা টাকায়। লিগে ফেডারেশনের খরচে হবে ম্যাচ অফিসিয়াল এক্সপেন্স, যুব লিগ, অ্যান্টি ডোপিং এবং অন্যান্য কিছু খরচ।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement