Kolkata Derby: এই ৫ ভুলেই নিভল মশাল, কেন মোহনবাগানের কাছে হারল ইস্টবেঙ্গল?

পাঁচটা ভুল। আর সেই ভুলের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের বিরুদ্ধে ১২০ মিনিট লড়াই করেও টাইব্রেকারে হার। শুরুতে পেনাল্টি পেয়েও জেসন কামিন্স তা মিস করেন। তারপরেই গোল হামিদের। তবুও সেই লিড ধরে রাখতে না পারা। প্রথমার্ধের শেষেই মোহনবাগানের গোল শোধ। টাইব্রেকারে বাজিমাত। কোন কোন কারণে হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে?

Advertisement
এই ৫ ভুলেই নিভল মশাল, কেন মোহনবাগানের কাছে হারল ইস্টবেঙ্গল?অস্কার ব্রুজো

পাঁচটা ভুল। আর সেই ভুলের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের বিরুদ্ধে ১২০ মিনিট লড়াই করেও টাইব্রেকারে হার। শুরুতে পেনাল্টি পেয়েও জেসন কামিন্স তা মিস করেন। তারপরেই গোল হামিদের। তবুও সেই লিড ধরে রাখতে না পারা। প্রথমার্ধের শেষেই মোহনবাগানের গোল শোধ। টাইব্রেকারে বাজিমাত। কোন কোন কারণে হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে?

জয় গুপ্তাকে শুরু থেকে না খেলানো
দলে জয় গুপ্তা থাকলেও লালচুংনুঙ্গাকে কেন খেলানো হল? এই প্রশ্ন অস্কার ব্রুজোকে করছেন সমর্থকরা। বারবার ব্যর্থ হয়েছেন লালচুংনুঙ্গা। ভুল করেছেন, সুযোগ দিয়েছেন মোহনবাগানকে। প্রথমার্ধে দুইবার সুযোগ এসেছিল তাঁর ভুলে। গোলটার ক্ষেত্রেও আপুইয়া রালতেকে সঠিক সময় ক্লোজ করতে পারেননি। 

বিপিনকে তুলে সৌভিককে নামানো
বিপিন সিং দারুণ ফুটবল খেলেছেন। বারবার ত্রাসের সঞ্চার করেছেন সবুজ-মেরুন ডিফেন্সে। তাঁকে দ্বিতীয়ার্ধে তুলে না নিলে সুযোগ আরও পেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। আরও বড় ব্যাপার হল, তাঁর জায়গায় সৌভিক চক্রবর্তীকে নামানোয়, দলটা কিছুটা ডিফেন্সিভ হয়ে পড়ে। ফলে গোল করার ক্ষেত্রে যে মুন্সিয়ানা থাকা প্রয়োজন তার যথেষ্ট অভাব ছিল।
 
সলকে তুলে নেওয়া
সল ক্রেসপো ভাল ছন্দে থাকা সত্ত্বেও থাকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে যায়নি। তিনি ক্যাপ্টেন। শেষ অবধি থাকলে একটা গোল পেয়েও যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। যা অন্তত ট্রফি জেতার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ছিল। য়ার সে কারণেই তাঁকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলেই মনে করছেন সমর্থকরা।

গিল যখন আত্মবিশ্বাসী ছিল, তখন দেবজিৎকে নামানো
টাইব্রেকারের ঠিক আগে দারুণ ছন্দে থাকা প্রভসুকান গিলকে তুলে দেবজিৎ মজুমদারকে নামানো একেবারেই উচিত হয়নি। গিল আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। গোটা ম্যাচে অন্তত বার তিনেক দলের পতন নিজের হাতে রোধ করেছেন। তারপরেও শুধু অভিজ্ঞতার কথা বিচার করে দেবজিৎকে চমক দিতে নামিয়ে দিয়েছিলেন অস্কার। তবে তা একেবারেই কাজে আসেনি।
    
জয় গুপ্তকে দিয়ে টাইব্রেকারের শেষ শট নেওয়ানো
জয় গুপ্তার ভুলেই হারতে হয়েছে লাল-হলুদকে। যতটুকু সময় নেমেছেন ভাল খেলেছেন। তবে তার টাইব্রেকারে নেওয়া শট সেভ করেই নায়ক বিশাল কাইত। রাশিদের মতো অভিজ্ঞ পেনাল্টি টেকার থাকা সত্ত্বেও কেন জয়কেই এই দায়িত্ব দেওয়া হল তা পরিস্কার নয়।  

Advertisement

ডার্বি জয়ের হ্যাটট্রিক হল না। তবে মোহনবাগানের একাধিপত্যে কিছুটা হলেও চিড় ধরিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। প্রেসিং ফুটবলে ১২০ মিনিটে একটুও স্বস্তি পাননি সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। বল ধরলেই সামনে একজন। আর সুযোগ পেলেই ডাবল কভারিং। ফলে সমস্যা হয়েছে সবুজ-মেরুনের। 

POST A COMMENT
Advertisement