
তাঁর ভুলেই হাতছাড়া হয়েছে শিল্ড। টাইব্রেকারে তাঁর ব্যর্থতা ইস্টবেঙ্গলের সব লড়াই ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। তাই ম্যাচের পর অনুতপ্ত জয় গুপ্তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট করলেন ইস্টবেঙ্গল তারকা। লাল-হলুদ সমর্থকদের কাছে তাঁর প্রতিশ্রুতি, ১০টা ট্রফি দেওয়ার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জয় গুপ্তা লিখেছেন, 'সমর্থক, ক্লাব এবং যারা ইস্টবেঙ্গলের পাশে রয়েছেন, তাঁদের সবাইকে আমি বলতে চাই, পেনাল্টি নষ্ট করার সব দায় আমি নিচ্ছি। এরকম ইতিহাস সমৃদ্ধ, প্যাশন নির্ভর একটা ক্লাবের খেলোয়াড় হিসেবে বুঝতে পারি সেই মুহূর্তটা প্রতিটি ফ্যান, সতীর্থ ও পরিবারের সদস্যদের কাছে কী বেদনারই না ছিল। এই ধরনের মুহূর্ত খুবই দুঃখের, কষ্টের। কোনও শব্দই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আজকের রাতের হতাশা দূর করতে পারে না। আমাকে পরিষ্কার করে বলতে দিন, এই বিপর্যয় মোটেও আমাকে কাঁপাচ্ছে না। এই হার যে দুঃখ-বেদনা দিয়েছে, প্রচণ্ড পরিশ্রম করে এবং দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করে আমি সবটা পুষিয়ে দেব। একটা মিসের প্রতিদান হিসেবে দশটা খেতাব দেব ক্লাবকে। এটাই আমার প্রতিশ্রুতি। এটাই আমার উদ্দেশ্য।'
গোটা ম্যাচে দারুণ ফুটবল খেলেও টাইব্রেকারে হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। সে কারণে ম্যাচ হেরে হতাশ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। প্রশ্ন উঠছে কেন জয় গুপ্তা পেনাল্টি মারতে গেলেন? মহম্মদ রশিদ, আনোয়ার আলিরা থাকার পরেও?
সাংবাদিক সম্মেলনে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোন বললেন, 'ফুটবলাররা নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা পেনাল্টি মারতে যাবে। জয় নিজেই পেনাল্টি মারতে চেয়েছিল।' এবার বিষয় হলো, যে কেউ চাইলেই কি তাঁকে পেনাল্টি মারতে দেওয়া হবে? পেনাল্টি মিস করায় লাল-হলুদ সমর্থকদের চোখে খলনায়ক বনে গিয়েছেন জয়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তৈরি হল নতুন বিতর্কও। পুরো ম্যাচে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক প্রভসুখন সিং গিল। টাইব্রেকারের আগে তাঁকে তুলে দেবজিৎ মজুমদারকে নামিয়ে ফাটকা খেলা হল। যা কাজে লাগেনি। এই নিয়ে বিস্ফোরক অস্কার, 'কোচিং টিমের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এটা আমার ভুল। কথা শোনা উচিত হয়নি। প্রভসুখনকে টাইব্রেকারে রাখা উচিত ছিল।'
তবে, হেরে যাওয়ার পরেও দলকে প্রশংসায় ভরালেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। অস্কারের কথায়, 'আমরা ম্যাচটা কিন্তু নির্ধারিত সময়ে হারিনি। টাইব্রেকারে হেরেছি। ওদের থেকে ভাল খেলেছি। প্রথম গোলের পরই ম্যাচটা শেষ করে দেওয়া উচিত ছিল। উল্টে ওরা গোল করে গেল।'
প্রথমে ডুরান্ড কাপ, তারপর আইএফএ শিল্ড। ট্রফি যেন কিছুতেই আর ছোঁয়া হচ্ছে না অস্কার ব্রুজোনের দলের। সামনে এবার সুপার কাপ। ২০ অক্টোবর গোয়া যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। চারদিন গোয়ায় অনুশীলন করে তারা প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে।