প্রথমার্ধে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে শেষ মুহূর্তে আপুইয়ার দুরন্ত গোলে স্মতা ফেরায় মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। প্রথমার্ধের শেষে ম্যাচের ফল ১-১। দারুণ উপভোগ্য ম্যাচ চলছে আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে।
টাইব্রেকারে গড়াল ম্যাচ
ম্যাচ টাইব্রেকারে যেতেই মাঠে নামলেন দেবজিত মজুমদার।
প্রথম শট মিগুয়েলের, গোল পেয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল।
রবসনের শট অল্পের জন্য গোলে ঢুকে গেল। স্বস্তি পেলেন মোহনবাগান সমর্থকরা।
কেভিন সিবিলে শট ডানদিকে মারেন। বল গোলে ঢুকে যায়।
মনবীরের শটও গোলে ঢুকে গেল।
নাওরেম মহেশ সিং-এর শটও জালে জড়ায়।
লিস্টনের শটও গোলে ঢোকে।
জয় গুপ্তার শট সেভ করেন বিশাল কাইত।
৮ মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের কাছে। জেসন কামিন্স ও জেমি ম্যাকলরেনের যুগলবন্দীতে। দারুণ দক্ষতায় ম্যাকলরেনের গোলমুখি শট বাঁচান ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুকান সিং গিল। দুই পা জোড়া করে সেই শট বাঁচান তিনি। ২৫ মিনিটে সাহাল আব্দুল সামাদ ফের সুযোগ পেয়ে যান দলকে এগিয়ে দেওয়ার। তবে আবার ইস্টবেঙ্গলের ত্রাতা হয়ে ওঠেন প্রভসুকান সিং গিল। একা গিলকে পেয়েও সময়মতো বলে টোকাটা মারতে পারেননি।
বক্সের মধ্যে ম্যকলরেনকে ফাউল করে বসেন আনোয়ার আলি। পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। ৩৪ মিনিটে জেসন কামিন্স পেনাল্টি মিস করেন। তাঁর শট বারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। পেনাল্টি বাঁচানোর পরেই আরও চনমনে ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকেই আসে গুরুত্বপূর্ণ গোল। বক্সের মাঝে লো ক্রস বাড়ান রশিদ। নওরেম বলটা নিয়ে সোলো রান নেন, এরপর তিনি বাড়ান হামিদকে। তিনি বক্সের সামনে থেকে ছোট্ট টোকায় জালে জড়ান। সামনে ছিলেন অ্যালবার্তো রদ্রিগেস। তাঁর ফাঁক গলে গোল করেন হামিদ।
৪৩ মিনিটে হামিদ আহাদাদের শট বারে লেগে না ফিরলে প্রথমার্ধেই আরও চাপে পড়ত মোহনবাগান। নাওরেম মহেশ সিং-এর পাশ ধরে ছোট্ট দুই টোকায় ডিফেন্ডারের ছিটকে দিয়ে নেওয়া শট বারে লেগে ফেরে। এর পরের মিনিটেই হামিদ ফের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন।
তবে আপুইয়ার দূর থেকে নেওয়া শটে ইনজুরি টাইমে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। একেবারে শেষ মুহূর্তে লিস্টনের বাড়িয়ে দেওয়া পাস থেকে বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া শট ক্রসবারে লেগে গোলে ঢুকে যায়।