শেষবার কলকাতা লিগে চ্যাম্পিয়ন কারা তা এখনও জানা যায়নি। সে ঘোষণা আদালতের বিচারাধীন। তাই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে শেষ করেও, ট্রফি পায়নি ইস্টবেঙ্গল। আর এর মধ্যেই শুক্রবার কোচ বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে এবারের কলকাতা লিখে অভিযান শুরু করছে ইস্টবেঙ্গল। নৈহাটি স্টেডিয়ামে তাদের প্রতিপক্ষ মেসারার্স ক্লাব। ম্যাচ শুরু দুপুর তিনটেয়।
কারা থাকতে পারেন দলে?
গতবারে লিগে খেলা দলটাই মোটামুটিভাবে গবে রেখেছে ইস্টবেঙ্গল। সূত্রের খবর, সিনিয়র দলের ৬ ফুটবলারকে লিগে রেজিস্ট্রেশন করানো হবে। সৌভিক চক্রবর্তী, দেবজিৎ মজুমদার, প্রভাত লাকরা, ডেভিড, বিষ্ণু এবং মার্ক জোগানপুইয়া। বিক্রম প্রধান, মনোতোষ মাঝিরা আসায় দল শক্তিশালী হয়েছে। শেষ কয়েকদিনের অনুশীলনে যা আভাস, তাতে মেসারার্সের বিরুদ্ধে তিন কাঠির মধ্যে আদিত্য পাত্রের খেলার সম্ভাবনা বেশি। চার ডিফেন্ডার হয়তো সুমন দে, চাকু মান্ডি, মনোতোষ চাকলাদার এবং জোসেফ। গত বছরের মতো এবারও মাঝমাঠের দায়িত্ব সামলাবেন তন্ময় দাস এবং নদিব রহমান। দুই প্রান্তে আমন সিকে এবং সায়ন ব্যানার্জির খেলার সম্ভাবনা বেশি। আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলবেন পেকা গুইতে। গতবারের লিগে সর্বাধিক গোলদাতা জেসিন টিকে শুক্রবার শুরু থেকে খেলবেন না। আক্রমণভাগ সামলাবেন মনোতোষ মাঝি। জেসিন আসতে পারেন পরিবর্ত হিসেবে।
কীভাবে দেখবেন এই ম্যাচ?
এসএসএন-এর মোবাইল অ্যাপে দেখা যাবে এই ম্যাচ। সেই ম্যাচ দেখতে হলে যদিও টাকা খরচ করতে হবে। ৫০০ টাকা খরচ করলে পাবেন পাস। তা দিয়ে গোটা কলকাতা লিগই দেখা যাবে।
বিনো জর্জ বলছেন, 'আমাদের প্রস্তুতি খুব ভাল হয়েছে। ফুটবলাররা কলকাতা লিখের গুরুত্ব জানে। আর গতবার আমরা একটা ম্যাচও হারিনি। আইএফএ লিগ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবে সেটা তাদের ব্যাপার। তবে আমরা আমাদের কাজটা করেছিলাম। এ বছরও সেটাই লক্ষ্য। কলকাতা লিখ অন্যতম কঠিন প্রতিযোগিতা। প্রতিটা দল শক্তিশালী।'
মেসার্স দলে অভিজ্ঞ ফুটবলাররা
প্রতিপক্ষ মেসারার্স দলে তীর্থঙ্কর সরকার, দিব্যেন্দু দুয়ারী, রাম মালিক, সুচন্দ্র সিংয়ের মতো পরিচিত মুখের ভিড়। তাঁরাও লড়াই দিতে তৈরি। দলের কোচ রাজীব দে বলছিলেন, 'গত বছরের থেকে এ বছর দল ভাল হয়েছে। ফুটবলারদের কাছে বড় দলের বিরুদ্ধে খেলার অবশ্যই আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।'
অন্যদিকে, আইএসএলের জন্য এক স্প্যানিশ সেন্টুল ডিফেন্ডারকে নাকি চূড়ান্ত করে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। সেই বিদেশির লা লিগার দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে খবর।