কলকাতা স্টেডিয়াম লিওনেল মেসির কলকাতা সফর ভারতীয় ফুটবলে কলঙ্কের হয়ে থাকল শনিবার। প্রচুর টাকা দিয়েও আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে দেখতে পাননি সাধারণ মানুষ। ৪,০০০, ৫,০০০, ১০,০০০ টাকার পাশাপাশি ১২,০০০ টাকার টিকিটও ছিল। এছাড়াও, ভক্তদের একাংশের জন্য ছিল ১০ লক্ষ টাকার টিকিট। তাদের সুযোগ ছিল, মেসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার। সবটাই বানচাল হয়ে যায়, অবাঞ্ছিত অনেক মানুষ মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়ায়।
সূত্রের খবর, ৬৮,০০০ দর্শক সংখ্যা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের। সেখানে প্রায় ৭০,০০০ মানুষ ঢুকে পড়েছিলেন। যদি গড়ে ৫০,০০ টাকা টিকিটের দাম বলে ধরে নেওয়া হয়, তবে টিকিট বিক্রি করেই ৩৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন শতদ্রু দত্তরা। এটা শুধু টিকিটের টাকা। এছড়াও আছে স্পন্সরশিপের টাকা। পাশাপাশি মাঠের মধ্যে যে মিনারেল ওয়াটার বিক্রি হচ্ছিল। তার দামও ছিল আকাশছোঁয়া। শোনা যাচ্ছে ২০ টাকার জলের বোতল বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়। কোল্ড ড্রিঙ্কস, অন্যান্য খাবারদাবারের ক্ষেত্রেও দাম ছিল অনেকটাই বেশি।
তবে এটা শুধুই গড় হিসেব। ফলে শুধু সাড়ে তিন কোটি টাকা নয়, এই অনুষ্ঠান থেকে নানাভাবে আরও অনেক বেশি টাকা তুলে এনেছিলেন উদ্যোক্তারা। এখন প্রশ্ন হল, এই বিপুল টাকা আদৌ ফেরত দেওয়া সম্ভব? অনলাইনে যারা টিকিট কেটেছিলেন তাদের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। তবে যারা অফ লাইনে কেটেছিলেন, তাদের ক্ষেত্রে কী হবে? কীভাবে সেই টাকা ফেরত পাবেন সাধারণ মানুষ?
রবিবার বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয় শতদ্রু দত্তকে। ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। শনিবার ঘটনার পর, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হন শতদ্রু। রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শতদ্রু দত্তর আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলতে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সল্টলেকে অশান্তির জন্য সাধারণ দর্শকদেরও দোষারোপ করেন তিনি।
বলেন, ' কে কী বলছে সেটা দেখার কাজ আমার নয়। ইভেন্ট ম্যানেজার আর অর্গানাইজারের কাজ আলাদা। উনি মেসিকে নিয়ে এসেছিলেন। সাধারণ দর্শকদের ব্যর্থতার কারণে ঝামেলা হয়েছে। আমার মক্কেলেরল কোনও দোষ নেই। নিরাপত্তার কথা যখন উঠছে তখন অনেককে দায়িত্ব নিতে হবে। সাধারণ মানুষ যেভাবে উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল, সেটা কাম্য নয়। এখনই কাউকে আমি দোষারোপ করতে পারব না। তদন্ত করে পুলিশ যেটা করবে সেটাই মেনে নিতে হবে। যারা ওখানে ছিল ও মেসিকে ঘিরে রেখেছিল তাদের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।'