লিওনেল মেসিলিওনেল মেসিকে শহরে এনে লজ্জার মুখে পড়তে হল শহর কলকাতাকে। যুবভারতীতে অনুষ্ঠিত গোট কনসার্টে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা লিওনেল মেসিকে দেখতে না পেয়ে যুবভারতীতে চেয়ার ছোড়াছুড়ি। রদ্রিগো দি পল, লুই সুয়ারেজের সঙ্গে মেসি মাঠে প্রবেশ করেন। কিন্তু তাঁকে ঘিরে সেলিব্রিটি ও প্রাক্তন ফুটবলারদের ভিড়ে বিরক্ত হন তিনি। এর পর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান।
গোটা মাঠ প্রদক্ষিণ করার কথা থাকলেও, সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হল। গ্যালারি থেকে মাঠে বোতল, চেয়ার ছোড়েন দর্শকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ আসরে গেলেও সামলাতে পারেনি। ফলে চরম বিশৃঙ্খলার জেরে লজ্জার মুখে পড়তে হল সিটি অফ জয়কে। কলকাতাতেই তিনি প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ক্যাপ্টেন হিসেবে। সেই মাঠেই বিরক্ত হয়ে ছাড়তে হল মাঠ।
চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ দর্শকরা। মাঠে ঢুকে পাশে রাখা সরঞ্জাম ভাঙচুর। আয়োজকরা উধাও, পুলিশ পরিস্থিত সামলাতে ব্যর্থ। এর মধ্যেই ট্যুইট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'কেন মেসিকে ঘিরে থাকল হ্যাংলামির ভিড়? কেন স্টেডিয়াম পরিক্রমার সময় মেসিকে একা এগিয়ে রাখা হল না? কেন গ্যালারির দর্শকদের বঞ্চিত করা হল? এতে কলকাতার সুনাম বাড়ল? অপদার্থ আয়োজক কেন ন্যূনতম পরিকল্পনার ছাপ রাখল না? শুধু টাকা? শুধু ব্যবসা? এই আয়োজক আর কিছু হ্যাংলার জন্য সবাই বঞ্চিত হল। কলকাতা লজ্জিত হল। দর্শকদের ক্ষোভ ন্যায্য।'
এরপরেই ২০১১ সালের কথা উল্ল্যেখ করে তিনি লেখেন, 'পুনশ্চ: 2011 সালে এই যুবভারতীতেই খেলেছিলেন মেসি। আমি আর সহকর্মী প্রসেনজিৎ বক্সি কর্নার ফ্ল্যাগের পাশে বসে খেলা দেখেছিলাম। বারো ফুটের মধ্যে এসে কর্নার নিলেন মেসি। সবটা হয়েছিল পরিকল্পিতভাবে। কোনো বাড়াবাড়ি সেদিন হয়নি।'