রেকর্ড আর লিওনেল মেসি যেন সমার্থক। এই যেমন মঙ্গলবারই নতুন একটা মাইলস্টোন গড়লেন এলএম ১০। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবথেকে বেশি অ্যাসিস্ট করার মুকুট উঠল তাঁর মাথায়।
এ দিন পুয়ের্তো রিকোর বিরুদ্ধে ৬-০ গোলে জেতে আর্জেন্তিনা। সেখানে ২টি অ্যাসিস্ট করেন মেসি। যার ফলে দেশের জার্সি গায়ে সবথেকে বেশে অ্যাসিস্ট করার রেকর্ডও এখন বগলদাবা করে ফেললেন এই মহাতারকা।
এ দিন তিনি নেইমার এবং ল্যান্ডন দোনোভানের রেকর্ড ভেঙে ফেলেন। এর পরই নিজের পেশিদারি কেরিয়ারে ৪০০ তম অ্যাসিস্ট থেকে মাত্র ৩ সংখ্যা দূরে রইলেন মহাতারকা। সেটা পূরণ হলে আবার নতুন একটি রেকর্ড গড়া হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আর্জেন্তিনা তাদের মার্কিন সফর ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে দারুণভাবে শেষ করেছে। এ দিন মেসি গোল না করলেও, তিনি গঞ্জালো মন্টিয়েল এবং লাউতারো মার্টিনেজকে অ্যাসিস্ট করেন। এর ফলেই ৬-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয়।
পৃথিবীর অন্যতম সেরা গোল স্কোরার
অনেকেই মেসিকে গোল মেশিন মনে করেন। বক্সের আশপাশে তাঁর পায়ে বল পড়লে গোল নিশ্চিত। যদিও মেসি শুধু একজন স্কোরার বা ড্রিবলার নন। দৃষ্টিনন্দন ড্রিবিলিংয়ের পাশাপাশি তিনি দারুণ প্লেমেকার। বিপক্ষের গোলের সামনে তিনি সতীর্থের জন্য সেরা বল বাড়াতে পারেন। যেই বলে পা ছোঁয়ালেই গোল নিশ্চিত। আর এই বিষয়টার জন্যই তিনি অ্যাসিস্টের রেকর্ড গড়ে তুললেন।
দারুণ খেলেন মেসি
এ দিন পুয়ের্তো রিকোর সঙ্গে প্রথম থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন মেসি। তিনি গঞ্জালো মন্টিয়েলকে দারুণ বল বাড়ান বক্সে। সেখান থেকেই খাতা খোলে আর্জেন্তিনা। এর পর তিনি একটি ব্যাক পাশ দেন লাউতারো মার্টিনেজকে। আর এই পাশটিও ছিল দেখার মতো।
২০২৬ ওয়ার্ল্ডকাপে মেসির উপর অনেক আশা
এখন থেকেই ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের জন্য উন্মাদনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। আর সেই কাপে যে আলাদা করে নজর থাকবে মেসির উপর, এই কথা তো বলাই বাহুল্য!
তবে অনেকেই মনে করছেন, এ বার মেসি অনেক হালকা থাকতে পারবেন। তাঁকে খুব বেশি চাপ নিতে হবে না। কারণ, তিনি ২০২২ সালে ইতিমধ্যেই কাপ জিতে ফেলেছেন। তাই এ বার তাগিদ থাকবে অনেকটাই কম।
কলকাতা আসছেন মেসি
ইতিমধ্যেই মেসির কলকাতা আসা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তিনি আসছেন ১৩ ডিসেম্বর। তার ফলে ভক্তদের মধ্যে উন্মদনা তুঙ্গে। টিকিটের দাম বেশি থাকার পরও ইতিমধ্যেই উড়ে গিয়েছে টিকিট।