ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) নয়, মহমেডান স্পোর্টিং-এ (Mohammedan Sporting) সই করলেন বাংলাকে সন্তোষ ট্রফি (Santosh Trophy) জেতানো রবি হাঁসদা (Rabi Hansda)। ছয় মাসের জন্য ক্যালকাটা কাস্টমস থেকে লোনে সাদা-কালো শিবিরে এলেন সন্তোষ ট্রফিতে ১২ গোল করা এই স্ট্রাইকার। আইএসএলে (ISL) খেলার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে তাঁর। সন্তোষ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরার পরই তাঁকে পেতে ঝাঁপায় ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডান।
ইস্টবেঙ্গল নয় মহমেডানেই রবি
প্রথমে রবিকে প্রস্তাব দেয় ইস্টবেঙ্গল। সন্তোষের নায়কের সঙ্গে কথা বলেন ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। বাংলা দল ফেরার পরপর শোনা গিয়েছিল, ইস্টবেঙ্গলে সই করতে পারেন রবি। কিন্তু হাল ছাড়েনি মহমেডান। তাঁকে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। শেষপর্যন্ত মহমেডানে সই করলেন রবি।
সুযোগ পেতেই মহমেডানে রবি
শোনা যাচ্ছে, আইএসএল-এ খেলার সুযোগ পেতেই ইস্টবেঙ্গলে সই না করে মহমেডানে সই করলেন বাংলার এই তারকা। অস্কার ব্রুজোর দলে নিয়মিত সুযোগ পান না ডেভিড লালরামসাঙ্গা, আমন সিকে-রা। ফলে রবি যে সুযোগ পাবেন তার নিশ্চয়তা একেবারেই নেই। বাংলা দলের কোচ সঞ্জয় সেনের পরামর্শেই সাদা-কালো শিবিরে সই রবির। সোমবার সন্ধে ৬ টায় শ্রাচীর অফিসে সইসাবুদ সারেন সন্তোষ ট্রফির নায়ক। লিগ টেবিলের তলানিতে থাকা মহমেডানের হয়ে খেলার যথেষ্ট সুযোগ পাবেন রবি। এমনটাই আশা বাংলার স্ট্রাইকারের।
হাবিবের রেকর্ড ভেঙেছেন রবি
সন্তোষ ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড গড়েছেন রবি। পেছনে ফেলে দিয়েছেন বিখ্যাত ফুটবলার মহম্মদ হাবিবকে। এর আগে এক মরসুমে ১১টা গোল করা হাবিবের রেকর্ড এতদিন অক্ষত ছিল। রবি সেটা ভেঙেই সাত বছর পর ট্রফি জিতেছে বাংলা দল। আর তাই রবিকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছিল মহমেডান ও ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসল মহমেডানই।
স্কটিশ স্ট্রাইকার আসছেন মহমেডানে?
স্কটিশ স্ট্রাইকার জোনা আয়ুঙ্গাকে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে মহমেডান। কেনিয়া প্রিমিয়ার লিগে খেলেন ২৭ বছরের স্ট্রাইকার। কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়েছে।