Mohun Bagan Election: ভোট হবে না মোহনবাগানে, সচিব হচ্ছেন সৃঞ্জয়; সভাপতি কে?

মোহনবাগান (Mohun Bagan) নির্বাচনে দুই পক্ষের মধ্যে প্রবল রেষারেষি থামাতে উদ্যোগ নিল নবান্ন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন, কাল সোমবার। দু'পক্ষই ফর্ম তুলে জমা দেওয়ার প্রস্তুতিও শুরু করেছিল। পাড়ায় পাড়ায় দুই শিবির নির্বাচনী সভা করেছে শনিবারও। এই আবহের মধ্যেই নির্বাচন নতুন মোড় নিতে চলেছে। 

Advertisement
ভোট হবে না মোহনবাগানে, সচিব হচ্ছেন সৃঞ্জয়; সভাপতি কে?দেবাশিস দত্ত, টুটু বসু ও সৃঞ্জয় বসু

মোহনবাগান (Mohun Bagan) নির্বাচনে দুই পক্ষের মধ্যে প্রবল রেষারেষি থামাতে উদ্যোগ নিল নবান্ন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন, কাল সোমবার। দু'পক্ষই ফর্ম তুলে জমা দেওয়ার প্রস্তুতিও শুরু করেছিল। পাড়ায় পাড়ায় দুই শিবির নির্বাচনী সভা করেছে শনিবারও। এই আবহের মধ্যেই নির্বাচন নতুন মোড় নিতে চলেছে। 

সূত্রের খবর, যে ভাবে এই নির্বাচন ঘিরে তৃণমূল বনাম তৃণমূল লড়াই শুরু হয়েছে এবং সুযোগ পেয়ে সিপিএম ঢুকে পড়েছে, তা একেবারেই চাইছে না নবান্ন। সে জন্যই লড়াই থেকে দু'পক্ষকে বিরত থেকে একটা প্যানেল তৈরির জন্য নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। দেবাশিস দত্তের নেতৃত্বাধীন শাসক গোষ্ঠী এবং সৃঞ্জয় বোসের নেতৃত্বে তৈরি বিরোধী গোষ্ঠীকে মুখোমুখি বসিয়ে রাজ্যের এক মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই প্যানেল তৈরির। 

এখন যা পরিস্থিতি, তাতে ক্ষুত হলেও নবান্নের নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচনে সামিল হওয়ার সাহস কেউ দেখাবে, এমন সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। কিন্তু সেই প্যানেল তৈরি নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু হতেই ঝামেলা তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, নবান্ন চাইছে বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্ত প্রেসিডেন্ট হোন, সৃঞ্জয় বসু সচিব। বাকি ২১টি কর্মসমিতির পদ ভাগাভাগি হোক। সমস্যা সেটা নিয়েই। কারণ ২১টি পদের মধ্যে দুটি পদ আবার রিজার্ভড। ফুটবল সচিব পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছোট ভাই স্বপন (বাবুন) বন্দ্যোপাধ্যায় এবং টেনিস সচিব পদে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের আত্মীয় পিন্টু বিশ্বাসকে রাখতেই হবে প্যানেলে। ফলে থাকছে ১৯টি পদ। তা কী ভাবে ভাগ হবে, তা নিয়েই এখন টানাপড়েন। চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে, কে কোনটা নিলে লাভবান হবে। বিরোধী গোষ্ঠী চাইছে, সচিব-সহ ১০টি পদ। এর পরে শাসক গোষ্ঠী বাকি ১০টি পদ নিলে তাদের আপত্তি নেই। 

কিন্তু দেবাশিসের নেতৃত্বাধীন শাসক গোষ্ঠী ১০-১০ ফর্মুলায় যেতে রাজি নয়। তাদের দাবি আরও কয়েকটি পদ। ৬ জন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ৩-৩ ভাগ হলেও পরে যে তিনজন কো-অপ্ট সদস্য নেওয়ার সুযোগ আছে, তাতে শাসকের দাবি দুটি পদ। ফুটবল সচিব এবং যুব উন্নয়ন সচিব পদের কোনও গুরুত্ব নেই। দড়ি টানাটানি চলছে সহ সচিব, মাঠ সচিব, ক্রিকেট সচিব, অর্থ সচিব ও কোষাধ্যক্ষ পদ নিয়ে। ফুটবলের পাঁচটি দল চালায় সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কোম্পানি আরপিএসজি। কোম্পানির দশ সদস্যের ডিরেক্টর বোর্ডে দুজন থাকেন ক্লাবের। এতদিন ছিলেন দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসুর ছোট ভাই সৌমিক। 

Advertisement

এখন শোনা যাচ্ছে, মিলিজুলি প্যানেলে শাসকের চেয়েও বিরোধী শিবিরে ক্ষোভ বেশি। গত সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় আসার জন্য প্রভাব বিস্তারের জন্য নানা রকম চেষ্টা চলেছে। পদের দাবিদার হয়ে উঠেছিলেন অন্তত ৪৫ জন। আট বা নয়টি পদ তাদের মধ্যে কী ভাবে ভাগ করা হবে, তা নিয়ে এখন তীব্র ডামাডোল।

রাজ্যে শাসক দল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে কোনও বড় ক্রীড়া সংস্থায় নির্বাচন হয়নি। ব্যতিক্রম শুধু বিওএ। সেখানে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর দাদা-ভাইরা লড়েছিলেন। মোহনবাগানে যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না হয়, তা হলে সেই পরম্পরা বজায় থাকবে। ২০২৬ নির্বাচনের আগে সেটাই চাইছে নবান্ন।

POST A COMMENT
Advertisement