ইরানে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট এসিএল-২-র ম্যাচে খেলতে যায়নি। আর তা নিয়ে নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে। সমর্থকরা প্রায় প্রত্যেক ম্যাচেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আর এর মধ্যেই বিস্ফোরক মোহনবাগান কোচ হোসে মলিনা। ডার্বির আগের দিন ইরান যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি যা জানালেন তাতে নতুন করে বিতর্ক যে শুরু হবে তা বলাই যায়।
ডার্বিতে সমর্থকদের পাশে পেতে চান। তবে তাঁদের বিক্ষোভের পাশেই এসে দাঁড়ালেন মোহনবাগানের হেডকোচ। সমর্থকদের দাবি ছিল, ম্যানেজমেন্টের ব্যর্থতার জন্যই ইরান যায়নি সবুজ-মেরুন। আর সেটা অনেকটাই স্পষ্ট হল মলিনার কথায়। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আমরা জানি সমর্থকরা খুশি নয়। ফুটবলাররা ইরান যেতে চায়নি। আমার কোনও সমস্যা ছিল না। এখন জিতলেই সমর্থকরা খুশি হবে। সেটাই ফুটবলারদের বোঝাচ্ছি।'
সমর্থকদের আবেগ বুঝতে পেরে মোহনবাগান হেডকোচ আরও বলেন, 'সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, অন্তত ৯০ মিনিট দলকে সমর্থন করুন। তারপর আবার নিজেদের অবস্থানে থাকুন।' আইএফএ শিল্ডের ডার্বিতে টিকিট বিক্রির দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান সমর্থকদের একাংশ এখনও বয়কটের রাস্তা থেকে অনড়। ফলে টিকিট বিক্রি অনেকটাই স্লথ হয়েছে। সে কারণেই ম্যাচের দিনও চলবে টিকিট বিক্রি। যা ইতিপূর্বে দেখা যায়নি। ডার্বি মানেই গত কয়েক বছর ধরে দেখা গিয়েছে মোহনবাগান সমর্থকদের বাড়তি উৎসাহ। তবে এবার যে তাতে ভাটা পড়েছে তা বলা যায়।
পরপর দুই ডার্বি হেরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মরিয়া মোহনবাগান। আর সে কারণেই ফুটবলার, কোচ থেকে শুরু করে কর্মকর্তারাও সমর্থকদের এই প্রতিবাদ চাপা দিতে ব্যস্ত। তাঁদের বক্তব্য বা যুক্তিও তৈরি। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচ। মান সম্মানের এই ম্যাচে জিতে তারপর প্রতিবাদ করুন সমর্থকরা। ইউনাইটেড স্পোর্টস ম্যাচে কিশোরভারতী স্টেডিয়াম রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল। আর তাতে এই ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়েছে। সুযোগ পেলেই ইরানের সংবাদমাধ্যমও টিপ্পনি দিতে ছাড়ছে না মোহনবাগানকে। ফলে সেই ক্ষোভ আরও বাড়ছে। স্লোগান উঠছে মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে হটানোর দাবিও। আর সেটাই আরও বড় চিন্তার কারণ মোহনবাগান কর্তাদের কাছে।