আইএফএ শিল্ড নাও খেলতে পারে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। সোমবার আইএফএ-এর শিল্ড নিয়ে হওয়া মিটিং-এ ছিলেন না মোহনবাগানের কোনও প্রতিনিধি। এরপর থেকেই শুরু হয় আশঙ্কা। সবুজ-মেরুন কি খেলতে নামবে শিল্ড? সবুজ-মেরুন সমর্থকরা কিন্তু এ ব্যাপারে ক্লাবের সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি নন। তাঁদের দাবি, মোহনবাগানের ইতিহাস জড়িত রয়েছে এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে। ফলে এখানে মোহনবাগানের খেলা উচিত।
আইএফএ শিল্ড ১৯১১ সালে জিতেছিল মোহনবাগান। ২৯ জুলাই সেই টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এই দিনটাকেই মোহনবাগান দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সে কথা উল্ল্যেখ করেই, মোহনবাগান সমর্থকদের সংগঠন মেরিনার্স বেস ক্যাম্পের আর্জি মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্টকে আরও একটু সময় দেওয়া হোক। কারণ বৃহস্পতিবারই শিল্ডের জন্য নাম দেওয়ার শেষ দিন ধার্য করেছে বাংলা ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। মেরিনার্স বেস ক্যাম্পের দাবি, শিল্ড খেলতে হবে মোহনবাগানকে।
মোহনবাগান এই বৈঠকে যোগ না দেওয়ার পর থেকেই নানা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন সমর্থকরা। আইএফএ সূত্রের খবর, এখনও অবধি খেলার ব্যাপারে কোনো কনফার্মেশন দেয়নি মোহনবাগান। তবে কি মোহনবাগানকে ছাড়াই হবে শিল্ড? সেটা যদিও এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছে মোহনবাগানকে। এরপর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-তেও প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে হারতে হয়েছে সবুজ-মেরুনকে। ফলে একের পর এক ম্যাচ হেরে যাওয়া এবং কোচ হোসে মলিনার অদ্ভুত স্ট্র্যাটেজি নিয়ে ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। শুধু তাই নয়, পরপর দুটো কলকাতা লিগ ট্রফি যখন ইস্টবেঙ্গল জিতছে, তখনও মোহনবাগান ব্যর্থ। আবার মেয়েদের দল না থাকায়, সেক্ষেত্রেও ইস্টবেঙ্গল টেক্কা দিচ্ছে মোহনবাগানকে।
ফলে একের পর এক সমস্যা নিয়ে জেরবার ক্লাবের সমর্থকরা। এখন আইএফএ কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার। অন্যদিকে রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থাও চাপে। কারণ, এই শিল্ড খেলবে না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ডায়মন্ড হারবার এফসি। ডায়মন্ড হারবার বর্তমানে বেশ ভালভাবেই উঠে আসছে। ইস্টবেঙ্গলকে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেলেও ফাইনালে নর্থ ইস্টের কাছে হারতে হয় তাদের।