সুপার কাপের সেমিফাইনালে আজ এফসি গোয়ার মুখোমুখি হচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট।ভূবনেশ্বরে এফসি গোয়ার কাছে ৩-১ গোলে হারল বাস্তব রায়ের দল। ফলে আইএসএলে দ্বিমুকুট জিতলেও মোহনবাগানের সুপার কাপ জয়ের স্বপ্ন এই মরসুমেও সফল হল না। ব্রাইসন,ইকের,ম্যাচের সেরা বোরহা ফার্নান্ডেজ গোয়ার হয়ে গোল করেছেন। মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের হয়ে গোল সুহেল বাটের। এই জয়ের ফলে এফসি গোয়া মরসুমের প্রথম ট্রফির সামনে।
আইএসএলে হোসে মোলিনার অধীনে যে দল খেলেছিল সেই দলের সিংহভাগ ফুটবলারকে ছাড়াই কলিঙ্গ সুপার কাপে গিয়েছিল মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। ন্যুনো রেইস ছাড়া কোনও বিদেশি ছিল না। আইএসএলের প্রথম দলের ফুটবলার বলতে সাহাল আব্দুল সামাদ,আশিক কুরিয়ান,দীপক টাঙরি। বাকি সকলে ডেভলপমেন্ট দলের সদস্য। তবুও দুরন্ত ফুটবলে শেষআটের লড়াইয়ে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিয়েছিল বাস্তব রায়ের প্রশিক্ষনাধীন সবুজ মেরুন। কিন্তু মানলো মার্কুয়েজের এফসি গোয়ার সামনে জব্দ।
প্রথম থেকেই সাহাল আব্দুল সামাদকে জোনাল মার্কিংয়ে আটকে দিয়ে এবং আশিক কুরিয়ানের দৌড় বন্ধ করে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। ফলে একের পর এক আক্রমন অনাসায়ে ম্যাকহিউ,বোরহা,ব্রাইসনরা সবুজ মেরুন রক্ষনে তুলে আনতে থাকে। কুড়ি মিনিটে প্রথম গোল গোয়ার। বোরহার সেন্টারে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন ব্রাইসন। পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে ফিরে আসে মোহনবাগান। আশিক কুরিয়ানের মাটি ঘেষা সেন্টারে পা ছুইয়ে দলকে সমতায় ফেরান সুহেল বাট। এই সময় মনে হচ্ছিল সবুজ মেরুন ব্রিগেড টক্কর দেবে। কিন্তু এফসি গোয়া কখনই আত্মসমর্পন করেনি। বরং অঙ্ক কষে খেলার রাশ নিজেদের পায়েই রেখেছিল।
বিরতির পরে ম্যাচের পঞ্চাশ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে গোয়াকে এগিয়ে দেন ইকের। পিছন থেকে বাড়ানো বল ধরে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়লে গোয়ার স্প্যানিশ স্ট্রাইকারকে অনাবশ্যক ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন ধীরাজ সিং। তাঁর ভুলে পেনাল্টি পায় গোয়া। গোল করতে ভুল করেননি ইকের। এরপর অলিম্পিক গোলে ব্যবধান বাড়ান বোরহা। একই সঙ্গে এফসি গোয়ার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেন।