Mohun Bagan: ম্যাচ জিতেও প্রতিবাদ সমর্থকদের, ৭০-এর দশক মনে করালেন মোহনবাগান কর্তারা

কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শিল্ডের ম্যাচে তীব্র প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে। মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ৫ গোলে জিতলেও টানা ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল গ্যালারি। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ -র ম্যাচ ইরানে খেলতে না যাওয়া নিয়ে এই প্রতিবাদ হলেও বিচলিত নন মোহনবাগান সচিব ও সভাপতি।

Advertisement
ম্যাচ জিতেও প্রতিবাদ সমর্থকদের, ৭০-এর দশক মনে করালেন মোহনবাগান কর্তারামোহনবাগান

কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শিল্ডের ম্যাচে তীব্র প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে। মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ৫ গোলে জিতলেও টানা ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল গ্যালারি। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ -র ম্যাচ ইরানে খেলতে না যাওয়া নিয়ে এই প্রতিবাদ হলেও বিচলিত নন মোহনবাগান সচিব ও সভাপতি।

ম্যাচ শেষ হওয়ার পর, অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে, সচিব সৃঞ্জয় বসু ও সভাপতি দেবাশিস দত্ত বলেন,  'আপনারা সেই দিন দেখেছেন কিনা জানি না, একটা সময় ছিল যখন পুলিশ ভ্যানে করে শৈলেন মান্না, সুব্রত ভট্টাচার্যকে মোহনবাগান মাঠ থেকে বেরোতে হতো। কারণ একটা সময় সত্তর দশক-আশির দশকে আমি নিজের চোখে দেখেছি, যখন ম্যাচ ড্র হতো বা হারতো মোহনবাগান, তখন প্রচণ্ড বিক্ষোভ দেখানো হতো এবং ইট পড়তো। আমাদের টেন্টটা তখন টিনের টেন্ট ছিল। মানে মনে হতো ভেতরে, ইটের বর্ষণ চলছে। সেগুলো বদলেছে। ওই সময় বিক্ষোভটা অন্য ধরনের বিক্ষোভ ছিল।'

এখন ময়দানে নতুন ট্রেন্ড টিফো সংস্কৃতি। সেখানে নিজেদের প্রতিবাদ, ক্ষোভ তুলে ধরেন ক্লাবের সমর্থকরা। পাশাপাশি এখন অনেক ক্ষেত্রেই বয়কটের পথেও হাঁটেন সমর্থকরা। তবে এদিন কিশোর ভারতীতে ম্যাচ বয়কট হয়নি বলেই দাবি দেবাশিসের। তিনি বলেন, 'বয়কট তো আজকেও হয়নি। আজকেও তো লোক ছিল। আমরা যখন রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে এএফসি ম্যাচ করতাম, ছটা লোক আসতো খেলা দেখতে। তখন তো কোন প্রোটেস্ট ছিল না। বয়কটেরও প্রশ্ন নেই।' 

সমর্থকরা ক্লাব কর্তাদের কাঠগড়ায় তুলছেন। তবে তাতে কিছু যায় আসে না বলে মন্তব্য দুই কর্তারই। বলেন, 'না না, আমাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ব্যাপার নয়। দেখুন, মোহনবাগান ক্লাব সে ম্যানেজমেন্ট হোক আর প্লেয়ার হোক সবাইকে নিয়ে ওদের বক্তব্য আছে। এগুলো হয়েছে। আগেও হয়েছে। এক কথা বারবার প্রশ্ন করলে উত্তর একটাই। এগুলো হচ্ছে সমর্থকদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এটা হতেই পারে।' 

পাশাপশি ম্যাচ জিতলেই সমর্থকরা মাথায় তুলে নাচবেন বলে মনে করেন মোহনবাগানের দুই কর্তা। দুঃখ ওরাই হচ্ছেন যখন জিতি তখন ওরা মাথায় তুলে নেয়। হারলে এই ধরনের ক্ষোভ প্রকাশ হতেই পারে। এটা নিয়ে আমাদের এগিয়ে চলতে হবে।' পাশাপাশি  ইস্টবেঙ্গলকেও নাম না করে কটাক্ষ করেন দুই কর্তা। বলেন, 'আমরা যদি শুধু ডুরান্ড, কলকাতা লিগ বা শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হতাম তা হলে এই প্রতিবাদ হত না।'

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement