
ইস্টবেঙ্গলের ঘর ভেঙে মোহনবাগানে এলেন তরুণ তারকা। রিজার্ভ দলের ফুটবলার গুরনাজ সিং গ্রেওয়ালকে দলে নিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। ১৮ বছর বয়সী এই ফুটবলারের সঙ্গে এ মরসুমেই চুক্তি শেষ হচ্ছে লাল-হলুদের। আর সেই কারণেই এই মিডফিল্ডারকে সই করাচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট।
তবে মূল দলে এখনই সুযোগ পাবেন না পঞ্জাবের এই ফুটবলার। মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের রিজার্ভ দলের হয়েই খেলবেন তিনি। যদিও ইস্টবেঙ্গলের মূল দলের হয়ে একবারই নামার সুযোগ পেয়েছিলেন গুরনাজ। ডুরান্ড কাপে মাত্র একটা ম্যাচ খেলছেন তিনি। মাঠে ছিলেন মাত্র ১৪ মিনিট। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়েও একটা ম্যাচ খেলছেন গুরনাজ। চণ্ডীগড় ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলে উঠে এসেছেন গুরনাজ। তারপর যোগ দেন লাল-হলুদে।
কলকাতা লিগে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের রিজার্ভ দল খেলবে। ৩০ জুন মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট প্রথম ম্যাচে খেলবে পুলিশ এসির (Police AC) বিরুদ্ধে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন কারা তা এখনও ঘোষণা করতে পারেনি আইএফএ (IFA)। তা এখন আদালতের বিচারাধীন। এর মধ্যেই কলকাতা লিগে নামছে প্রিমিয়ারের দলগুলো। দুই রাউন্ডের খেলাগুলো কোন কোন স্টেডিয়ামে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হলেও, পরের রাউন্ড গুলোর ম্যাচ কোথায় হবে তা জানানো হয়নি।
সাত গোলে জয় পেল ইস্টবেঙ্গল
কলকাতা লিগে প্রথম ম্যাচে সাত গোলে জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। মেজারার্স ক্লাবকে ৭-১ গোলে হারাল লাল-হলুদ। প্রথমার্ধে মনোতোষ মাঝি, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় ও পেকা গুইতের গোলে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। পেকা গুইতের দেওয়া মাইনাস থেকে গোল করেন মনোতোষ। এরপর সায়ন বন্দোপাধ্যায় মেসার্স গোলকিপারকে একা পেয়ে চিপ করে বল তেকাঠির ভেতরে ঠেলে দেন। তৃতীয় গোল আসে গুইতের পা থেকে। নাসিব রহমান যখন একের পর এক ডিফেন্ডারকে কাটানোর চেষ্টা করছেন তখন ব্লক আসে। তবে বল থিকভাবে ক্লিয়ার করতে পারেননি মেসার্স ফুটবলাররা। ফিরতি বলে শট করে যান পেকা গুইতে। ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধে তন্ময় দাস ব্যবধান বাড়ান। এরপর পরপর দুই গোল করে ফেললেন পরিবর্ত হিসেবে নামা জেসিন টিকে। ইনজুরি টাইমেও গোল করেন সুমন দে। ৭-১ গোলে জয় পায় লাল-হলুদ।
৬ জন বাঙালি ফুটবলার খেলাতে হবে
প্রথমে ঠিক ছিল, সব দলকে ৫ জন বঙ্গসন্তান খেলাতে হবে। তবে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের (Aroop Biswas) কথায়, প্রিমিয়ার এবং ফার্স্ট ডিভিশন লিগ কমিটির ও প্রিমিয়ারের ক্লাব প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ক্রীড়াদপ্তরের অনুরোধকে মান্যতা দিয়ে ভূমিপুত্রের সংখ্যা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ছয় করা হয়। এই বিষয়ে সব ক্লাবই সহমত হয়।