মোহনবাগানভারতীয় ফুটবলে এখন শুধুই অন্ধকার। আইএসএল-এর জন্য বিডিং-এর সময় বাড়ানো হলেও আগ্রহ দেখালো না কোনও সংস্থা। ফলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ভবিষ্যৎ নিয়ে অব্যাহত ডামাডোল। তথাকথিত দেশের সেরা ফুটবল টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ এখন বিশ বাঁও জলে। এই অনিশ্চয়তা নিয়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য অনুশীলন বন্ধ রাখল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট।
শুক্রবার ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে সেকথা ফুটবলারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১০ নভেম্বর থেকে অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হচ্ছে না। এখন প্রশ্ন দেশের টপ লিগের টপ ফুটবলারদের ভবিষ্যৎ কী? এই উত্তর হয়তো কারো কাছে নেই। ভারতীয় ফুটবলের এমন অবস্থা নিয়ে কী মনে করছে ফুটবল মহল। মোহনবাগান সভাপতি দেবাশিস দত্ত একে দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন। তিনি বলেন, 'ভারতীয় ফুটবলে খুবই দুর্ভাগ্যজনক দিন। এআইএফএফ ক্লাবগুলোকে গুরুত্ব দেয় না। ক্লাবগুলো কী চায়, তাদের কী মতামত এই বিষয়গুলোকে ফেডারেশন গুরুত্ব দেয় না। তাই এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। এখন তো আর কোনও টুর্নামেন্ট নেই। তাই অনুশীলন শুরু করেও তো কোনও লাভ নেই।'
মোহনবাগান সভাপতির মত একই কথা শোনা গেল মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোসের মুখ থেকে। তিনি বলেন, 'এটা খুবই দুঃখজনক। নাম্বার ওয়ান লিগ করার জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না। ফুটবলটা এখন আমাদের দেশে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এআইএফএফ-এর উচিৎ এফএসডিএলের সঙ্গে কথা বলে টুর্নামেন্টটা শুরু করা। এই ভাবে ভারতীয় ফুটবল আরও একশো বছর পিছনে চলে যাবে। ক্লাবগুলো অপেক্ষায় আছে। এতগুলো ফুটবলারের ভবিষ্যৎ নিয়ে এইভাবে ছেলেখেলা করা উচিত নয়। নিজেরা গদিতে বসে থাকার জন্য যেভাবে প্রচেষ্টা করে যায় সেভাবে যদি এক্ষেত্রে ও চেষ্টা করে আমার বিশ্বাস আইএস এল নিশ্চিতভাবে হবে।'
সুপার কাপ সেমিফাইনাল খেলবে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সুপার কাপের পর আর টুর্নামেন্ট কোথায়! সেক্ষত্রে তারাই বা কী সিদ্ধান্ত নেবে? সে প্রশ্নও উঠেছে। তবে আইএসএল নিয়ে এখনও আশাবাদী ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তিনি জানিয়েছেন, 'আমার বিশ্বাস টুর্নামেন্ট হবে। দেরিতে হলেও টুর্নামেন্ট হবে। হয়ত নিয়মে বা পরিকাঠামোতে পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। কিন্তু তাও টুর্নামেন্ট হবে আমি মনে করি। ভারতীয় ফুটবল থেমে থাকতে পারে না। যখন কেউ ছিল না এফএসডিএল তো ছিল ভারতীয় ফুটবলে। তারা তাদের কাজ করেছে।'
ইস্টবেঙ্গলের মতই আইএসএল নিয়ে আশাবাদী ইন্টার কাশি। তারা এবার প্রথম আইএসএলের যোগ্যতা অর্জন করেছে। কিন্তু প্রথমবারেই এমন বিপত্তি। এ বিষয়ে ইন্টার কাশি কর্তা পৃথ্বীজিৎ দাস বলেন, 'এখনও এআইএফএফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তাই আমার মনে হয় ফেডারেশন ভাবনা চিন্তা করে কিছু না কিছু তো করবেই। ফেডারেশন সভাপতির সঙ্গে যখন কথা হয়েছিল তিনি তো বলেছিলেন একটা ব্যবস্থা করবেন। যতক্ষণ না আমরা ফেডারেশনের থেকে পরিস্কার কিছু জানতে পারছি ততক্ষণ আমাদের ধৈর্য্য ধরে রাখতে হবে। আশা করি একটা উপায় বেরোবে।'