চেন্নাইয়েন এফসি-র হেরে লিগ শিল্ড জয় আরও কঠিন করে ফেলল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। গোটা ম্যাচ ভাল খেলে ৮০ মিনিটে ভুল করে বসেন বিশাল কাইত। তাঁর ভুলেই হেরে গেল সবুজ-মেরুন। যদিও প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগানই। তারপর শেষ ১০ মিনিট নাটক দেখা যায় যুবভারতীতে। শেষ অবধি দিমিত্রি পেত্রাতোসের পেনাল্টি থেকে ২-২ করে মোহনবাগান।
২৯ মিনিটে বাঁদিক থেকে উঠে এসে দারুণ ক্রস বাড়ান লিস্টন কোলাসো। ভিনসি ব্যারেটোকে দুইবার কাট করে ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে দুই ডিফেন্ডারের পেছনে বল ছাড়েন তিনি। পেছন থেকে উঠে আসা জনি কাউকো ট্যাপ ইন করে গোল করে যান মোহনবাগান ফুটবলার। ম্যচে প্রচুর সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে পারেনি মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধের ৮০ মিনিটে
৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-২ পিছিয়ে ছিল মোহনবাগান। তবে ইনজুরি টাইমে বল নিয়ে কাড়াকাড়ি করলে গিয়ে সাদিকুকে বক্সের ভিতর ফাউল করেন অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। রেফারি পেনাল্টি দেন। পেত্রাতোস পেনাল্টি নেন। তিনি শান্ত ভাবে জালে বল জড়ান। দেবজিৎ সঠিক দিকে ঝাঁপ দিলেও, বল বাঁচাতে পারেননি। ২-২ করে ফেলল মোহনবাগান। তবে ড্র বেশিক্ষন স্থায়ী হয়নি।
ইরফান ইয়াদওয়াদের গোলে ৩-২ করে ফেলল চেন্নাইয়েন। গোলটি হয় বিশাল কাইথের ভুলে। যখন মোহনবাগান দশ জন মিলে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণে ওঠে, তখন কাইথও গোল ছেড়ে পেনাল্টি বক্সের বাইরে বেরিয়ে আসেন। সেই সময়েই ইরফান কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠেন। সেটা দেখার পরেও কাইথ পিছিয়ে গোলের দিকে না গিয়ে, উল্টে ইরফানকে আটকাতে সামনের দিকে এগিয়ে যান। কিন্তু বিশালকে বোকা বানিয়ে ফাঁকা গোলে বল জড়ান ইরফান। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ৩-২ করে ফেলল চেন্নাইয়িন। সেখান থেকে আর ফেরত আসতে পারেনি মোহনবাগান। ফলে ঘরের মাঠে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় সবুজ-মেরুনকে। এর ফলে তাদের লিগ শিল্ড জেতার অপেক্ষা আরও কিছুটা বাড়ল তা বলাই যায়।